শুক্রবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

‘হা-যা হাবীবুল্লাহ মা-তা ফী হুব্বিল্লাহ’ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতেই বিছাল শরীফ লাভ করেন। সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সুন্নতের পরিপূর্ণ অনুসরণ করার কারণেই ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব মুবারক লাভ করেন।


মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
 সাল্লাম! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা সত্যিই মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত 
করে থাক তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার যিনি হা
বীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে 
অনুসরণ কর। উনাকে অনুসরণ করলেই মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত
 করবেন, তোমাদের গুনাহখতা মাফ করবেন, তোমাদের প্রতি দয়ালু হবেন।’
‘হা-যা হাবীবুল্লাহ মা-তা ফী হুব্বিল্লাহ’ তিনি মহান আ

ল্লাহ পাক উনার হাবীব, তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতেই বিছাল শরীফ লাভ করেন।
সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সুন্নতের পরিপূর্ণ অনুসরণ করার কারণেই ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব মুবারক লাভ করেন।

তাই সকলের উচিত উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক থেকে ইবরত নছীহত হাছিল করা।
অর্থাৎ সুন্নতের সুক্ষ্মতিসুক্ষ্ম পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ-অনুকরণ করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিল করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, মুর্শিদে আ’যম,
 ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ
 শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যমীনে হযরত নবী-রসূল 
আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে যে সকল আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকে 
মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ বান্দা হিসেবে, লক্ষ্যস্থল হিসেবে পাঠিয়েছেন উনাদের মধ্যে অন্যতম 
হচ্ছেন সুলত্বানুল হিন্দ, খাজা গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী
 সানজীরি আজমীরি রহমতুল্লাহি আলাইহি।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস 

সালাম তিনি বলেন, সুলতানুল হিন্দ, খাজা গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি
 তিনি এমন এক ব্যক্তিত্ব যাঁর উছীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি এক কোটিরও বেশি 
লোককে মুসলমান করেছেন, ঈমান দিয়েছেন। মূলতঃ তিনি নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ
 হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম, পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ-অনুকরণ 
করার কারণেই এত বড় কামিয়াবী হাছিল করেছেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম 

তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া 
সাল্লাম! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা সত্যিই মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করে থাক
 তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার যিনি হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু 
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ কর। উনাকে অনুসরণ করলেই মহান আল্লাহ পাক
 তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন, তোমাদের গুনাহখতা মাফ করবেন, তোমাদের প্রতি
 দয়ালু হবেন।” এই আয়াত শরীফ-এর হাক্বীক্বী মিছদাক হলেন সুলতানুল হিন্দ, খাজা গরীবে
 নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস

 সালাম তিনি বলেন, “উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার 
থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
 সাল্লাম উনার সাদা রংয়ের গোল টুপি ছিল; যা চারদিক থেকে মাথা মুবারক-এ সমানভাবে 
মিশে থাকতো।”


হযরত সুলতানুল হিন্দ, খাজা গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি 
উক্ত হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যায় বলেন, হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম মহান আল্লাহ 
পাক উনার নির্দেশে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
 উনাকে বেহেশত হতে চার টুকরা বিশিষ্ট সাদা, গোল, মাথার সাথে লেগে থাকে, সুতি 
কাপড়ের একটি টুপি মুবারক হাদিয়া হিসেবে প্রদান করেছিলেন। উক্ত টুপি মুবারক-এ 
৬টি সুন্নত বিদ্যমান রয়েছে। আর তা হলো: “১. টুপিটি চার টুকরা হওয়া সুন্নত, ২. সাদা 
রংয়ের হওয়া সুন্নত, ৩. গোল হওয়া সুন্নত, ৪. মাথার সাথে লেগে থাকা সুন্নত, ৫. সুতি হওয়া 
সুন্নত, ৬. টুপি পরিধান করা সুন্নত।” এর থেকেই অনুধাবন করা যায় যে, সুলতানুল হিন্দ, 
হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত সূক্ষ্মভাবে সুন্নত-এর তাহক্বীক্ব
 করেছেন এবং অনুসরণ-অনুকরণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
 সালাম তিনি বলেন, তাই তিনি বিছাল শরীফ লাভ করার পর উনার কপাল মুবারকে লিখা
 ভেসে উঠেছিলো, ‘হা-জা হাবীবুল্লাহ মা-তা ফি হুব্বিল্লাহ।’ অর্থাৎ তিনি মহান আল্লাহ পাক
 উনার হাবীব তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতেই বিছাল শরীফ লাভ করেন। সুবহানাল্লাহ!

সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাই 
উনার মাজর শরীফ, ভারত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম
 তিনি বলেন, হাক্বীক্বীভাবে ‘মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব’ হচ্ছেন আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, 
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। যেটা হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে, হাদীছে 
কুদসী শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আমি আপনাকে খলীল এবং হাবীব
 হিসেবে গ্রহণ করেছি।“ সেই ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব মুবারকখানা দেয়া হলো সুলতানুল হিন্দ, খাজা 
গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে। এতেই বুঝা যায় উনার মাক্বাম বা মর্যাদা কতটুকু। 
সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম 
তিনি বলেন, ‘হা-যা হাবীবুল্লাহ মা-তা ফী হুব্বিল্লাহ’ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব,
 তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতেই বিছাল শরীফ লাভ করেন। সুলতানুল হিন্দ, গরীবে 
নেওয়াজ, হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সুন্নতের পরিপূর্ণ অনুসরণ করার কারণেই
 ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব মুবারক লাভ করেন। তাই সকলের উচিত উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী 
মুবারক থেকে ইবরত নছীহত হাছিল করা। অর্থাৎ সুন্নতের সুক্ষ্মতিসুক্ষ্ম পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ-অনুকরণ
 করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক 
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিল করা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন