শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫

কাইয়্যুমে আউওয়াল হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র জীবনী মুবারক দেশের শিক্ষাক্রমে বাধ্যতামূলক করতে হবে

শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। এদেশের রাষ্ট্রীয় দ্বীন হচ্ছে- ‘পবিত্র ইসলাম।’ বলাবাহুল্য যে, এখানের অধিকাংশ লোক তরীক্বতপন্থী। আর একথা সবাই জানেন যে, এদেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শরয়ী ইলম-আমল কিংবা তরীক্বত উনার প্রচার-প্রসার সবই হয়েছে কাইয়্যুমে আউওয়াল, ইমামে রব্বানী হযরত শায়েখ আহমদ ফারূক্বী মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সুমহান তাজদীদ আঞ্জাম দেয়ার কারণেই। তিনিই এই উপমহাদেশের বেমেছাল ক্ষমতাশালী ওলীআল্লাহ যিনি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকা রাজা-বাদশাহদেরকে বাধ্য করেছেন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে অটুট রাখতে। মহান ইলাহী পাক উনার প্রদত্ত রোবে প্রভাবিত হয়ে মোঘল বাদশাহগণ উনার তাজদীদী ক্ষেত্রকে সম্প্রসারণের যাবতীয় খিদমত আঞ্জাম দিতে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত, উনার মহান তাজদীদী খিদমত মুবারক উনার কারণেই আমরা আজ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার শান মান আলোচনা করতে পারছি। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে নিজেদের দ্বীন হিসেবে পরিচয় দিতে পারছি। কারণ উপমহাদেশের প্রতাপশালী সম্রাট আকবর সে তো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে বাদ দিয়ে নব্য কুফরী মতবাদ কথিত দ্বীন-ই ইলাহী কায়িম করার অপচেষ্টা করেছিল; যা সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সুমহান কামালত দ্বারা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। এক কথায় উনার কারণেই পবিত্র দ্বীন ইসলাম শুরুর যামানার শানে জিন্দা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, এই ঐতিহাসিক বিষয়গুলো যা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলিম মিল্লাত উনাদের প্রতিনিধিত্ব করে সেগুলো সম্পর্কে মুসলিম উম্মাহ উনাদের নব প্রজন্মকে জানানোর অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। এই দায়িত্ব মূলত রাষ্ট্রকেই বহন করতে হবে। তাই অবিলম্বে রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম দাবিদার সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- দেশের সর্বপ্রকার পাঠ্যপুস্তকে ছহীহভাবে কাইয়্যুমে আউওয়াল হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সুমহান জীবনী মুবারক বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন