বুধবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

হযরত ইমাম মুজাদ্দিদ আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস

সুমহান পবিত্র ১৪ই শাওওয়াল শরীফ:

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী, হিজরী দ্বিতীয় সহস্রাব্দের (একাদশ হিজরী শতকের) মুজাদ্দিদ, আফদ্বালুল আউলিয়া, কাইয়্যুমে আউওয়াল শাহ ছূফী হযরত শায়েখ আহমদ ফারূক্বী মুজাদ্দিদে আলফে ছানী সিরহিন্দী হানাফী মাতুরীদী নকশবন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মানুষের বিবেক, মন ও অনুভূতিতে ইসলামের নবায়ন ঘটানোর জন্যে বাদশাহ আকবর কর্তৃক সৃষ্ট ফিতনার চরমকালে ৯৭১ হিজরী সন উনার পবিত্র ১৪ই শাওয়াল শরীফ (ঈসায়ী ১৫৬৩ সনে) ইমামে রব্বানী হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের পাতিয়ালার সিরহিন্দ শরীফ-এ। সুবহানাল্লাহ!

তিনি উনার যামানার মুজাদ্দিদ, মুজতাহিদ, ইমাম, গাউছুল আ’যম ও মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল ছিলেন। তিনি জীবনের কোনো অবস্থায় ফরয-ওয়াজিব সুন্নতে দায়িমা ও মুস্তাহাব-আমলও ত্যাগ করেননি। তিনি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পবিত্র সুন্নত পালন করতেন। কখনোই বিদয়াত-বেশরাকে সহ্য করতেন না। তিনি কখনোই আমীর-উমরা ও রাজা-বাদশাহদের তোয়াজ করতেন না। তিনি বাদশাহ আকবরের শরীয়তবিরোধী কুফরী দ্বীনে ইলাহীর বিপক্ষে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত উনার তাজদীদের দাপটের কারণে দীনে ইলাহীর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়। হক্ব প্রতিষ্ঠিত হয় এবং নাহক্ব দীনে ইলাহী মিথ্যা ও ভ্রান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রভাবশালী মুসলমান নামধারী গুমরাহ বাদশাহ আকবরের কাছে কখনোই তিনি মাথা নত করেননি। উনার সাথে বেয়াদবী করার কারণে বাদশাহ আকবর শেষ পর্যন্ত মাথা ফেটে মারা যায়। উনার তাজদীদের প্রভাবে তৎকালীন সকল উলামায়ে ‘সূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ী নিকৃষ্ট উলামাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছিলো এবং তারা নাস্তানাবুদ হয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ!
আর সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদে রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনিও বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবা ও প্রভাব-প্রতিপত্তির অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! এই পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাস উনার মধ্যে সেই শিক্ষা ও ইত্তিবা সকলের নছীব হোক। আমীন!


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন