উম্মু মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত দাদী হুযুর ক্বিবলাহ আলাইহাস সালাম উনার মুবারক শানে একটি বিশেষ পোষ্ট
২৫শে শাওওয়াল শরীফ হাবীবাতুল্লাহ মাশুকাহ, মাহবুবাহ রাজারবাগ শরীফ-এর সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বিছাল শরীফ দিবস
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার উনার পবিত্র মাজার শরীফ
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি ইরশাদ করেন, “খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত যারা খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের নিকটে।” অর্থাৎ মুহসিনীন বান্দা-বান্দীর নিকট। তাই খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার কোনো খাছ মাহবুব ওলী উনাদের বিলাদত শরীফ বা বিছাল শরীফ উভয়ই বান্দা-বান্দীদের জন্য রহমতস্বরূপ।
উল্লেখ্য, ২৫শে শাওয়াল শরীফ ১৪৩২ হিজরী হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস। খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে অসংখ্য অগণিত নিয়ামত দান করেছেন। অসংখ্য অগণিত নিয়ামতের শ্রেষ্ঠ নিয়ামত আমাদের প্রাণের আক্বা, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম।
যমীনে এমনি একজন মহান মুজাদ্দিদ তিনি রেখে গেছেন যে, উনার উসীলায় সারা বিশ্বের মানুষ ইসলাম সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে সক্ষম হচ্ছে।
হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বিছাল শরীফ দিবস যমীনবাসীর জন্য একটি নিয়ামতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ, সাকীনাপূর্ণ দিন। কাজেই এই দিনটি অত্যন্ত মর্যাদার সাথে পালন করা সকলেরই দায়িত্ব-কর্তব্য। এই দিনটি উপলক্ষে মীলাদ শরীফ-এর আয়োজন করা, উনার বিছাল শরীফ দিবস-এর উসীলায় দোয়া-মুনাজাত মাহফিলের ইন্তেজাম করা উচিত।
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন যেন হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বিছাল শরীফ-এরউসীলায় উনার অসংখ্য অগণিত নিয়ামত, বরকত, সাকীনা, রহমতপূর্ণ হিসসা আমাদের সকলকে দান করেন। আমীন।
উম্মু মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার স্মরণে
সকল হামদ যিনি খালিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং অসংখ্য দুরূদ ও সালাম আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যে, উনারা অত্যন্ত দয়া করে, মায়া করে, ইহসান করে ধরার বুকে উম্মু মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে পাঠিয়ে কুল-কায়িনাতবাসীকে ধন্য করেছেন। উনার মুবারক আগমনের কারণেই জগৎবাসী পেয়েছে পঞ্চদশ হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামে আ’যম, গাউছুল আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে। আর উনাকে পেয়েছি বলেই জগৎবাসীর পক্ষে আজও ইসলামকে সমুন্নত অবস্থায় পাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি দুনিয়াবাসীদের ইয়াতিম করে গত ২৫শে শাওওয়াল শরীফ ১৪৩২ হিজরী মুতাবিক ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ঈসায়ী সনে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক যিনি খালিক্ব, মালিক রব উনার সাক্ষাতে চলে গেছেন।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাহবুবা শ্রেণীর ওলীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি আখাছছুল খাছভাবে যে সকল মহান ব্যক্তিত্ব উনাদের মনোনীত করেছেন, উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মু মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি অন্যতম। সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার অসংখ্য, অগণিত শান-মান, কারামত, বুযূর্গী-সম্মান-এর অন্যতম শান-মান হচ্ছে তিনি পঞ্চদশ হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম, হাবীবুল্লাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার আম্মাজান। মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি যিনার রেহেম শরীফ-এ অবস্থান করেছেন উনার মর্যাদা-মর্তবা কত অধিক তা কল্পনা করাও মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। মূলত, উনার শানে কিছু আলোচনা করার কোনো যোগ্যতাই আমার নেই। তবুও উনাদের আলোচনা করার কোশেশ একমাত্র রহমত, বরকত, মাগফিরাত, নাজাতের হিস্যা পাওয়ার জন্য।
উম্মু মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি দুনিয়ার যমীনে ৯৯ বছর ৩ মাস অবস্থান করেছিলেন। অর্থাৎ সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি ১৩৩৩ হিজরী সনের বিলাদত শরীফ লাভ করেছিলেন। আর বিছাল শরীফ লাভ করেন ১৪৩২ হিজরী সনের ২৫শে শাওওয়াল শরীফ-এ।
উনার সমগ্র জিন্দেগী মুবারক কেটেছে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ সন্তুষ্টি রেযামন্দিতে এবং মুবরক দীদারে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি স্বামী হিসেবে পেয়েছিলেন আখাছছুল খাছ আওলাদে রসূল, ছূফীয়ে বাতিন, মাদারজাদ ওলী, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে, যিনি ছিলেন খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার একজন আখাছছুল খাছ মাহবুব ওলী। জিন্দেগী মুবারকে উনার পরহেযগারী, আল্লাহভীতি, পর্দানশীনতা অত্যন্ত বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি পর্দার প্রতি ছিলেন বেমেছাল যতœবান। জিন্দেগী মুবারকে মাহরাম ব্যতীত উনার মুবারক সাক্ষাৎ কেউ পায়নি। শেষ জিন্দেগী মুবারকে তিনি উনার মুবারক ছেলে-মেয়ে ব্যতীত অন্য মাহরামের সাথেও সাক্ষাৎ করতেন না। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার এতোই কাছের ছিলেন যে, তিনি সর্বদাই খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার মিছালী ছুরতের সাক্ষাৎ পেতেন। শেষ জিন্দেগী মুবারকে তিনি এক ওয়াক্তের নামায শেষ করলেই অন্য ওয়াক্তের নামাযের সময় হয়েছে কিনা তার জন্য উদগ্রীব থাকতেন। অর্থাৎ তিনি দুনিয়াবাসীকে নামাযের প্রতি কত যতœবান হতে হবে, তা শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
৯৯ বছর বয়স মুবারকে সাধারণত মানুষ বয়সের কারণে অসুস্থ থাকে। আমল করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ঘটনা। তিনি বয়সের কারণে অতো অসুস্থ ছিলেন না, বরং স্বাভাবিক ছিলেন। পবিত্র শাওওয়াল মাসের সুন্নাত রোযা রাখার জন্যও তিনি বিছাল শরীফ-এর বছর মত প্রকাশ করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বিছাল শরীফ-এর পূর্ব পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত স্বাভাবিক ছিলেন। ১৪৩২ হিজরীর ২৫শে শাওওয়াল শরীফ রাত ১০ : ৫৫ মিনিটে বিছাল শরীফ লাভ করার পূর্বে তিনি ওযু করে নিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন তিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাতে চলে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর একজন শিশু যেমন মায়ের বুকের দুধ খেতে খেতে ঘুমিয়ে যায়, ঠিক সেভাবেই তিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাতে চলে গেছেন। হাদীছ শরীফ-এ আছে “যারা ওলীআল্লাহ উনারা শিশুদের মত মায়ের দুধ খেতে খেতে ঘুমিয়ে যাওয়ার মতোই বিছাল শরীফ লাভ করেন।”
উনার বিছাল শরীফ-এর পর উনার মুবারক চেহারা নূরে আলোকিত হয়ে যায়। উনার বয়স মুবারক যে ৯৯ বছর হয়েছিলো তা বুঝার কোনো উপায়ই ছিলো না। উনার চেহারা মুবারক ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মতো হয়ে গিয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ! ওলীআল্লাহগণ উনাদের বিছাল শরীফ-এর পরে যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠে থাকে, এর সবগুলোই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার কিছাল শরীফ-এর পরে ফুটে উঠেছিলো।
কল্পনাতীত পর্দার সাথে উনার গোসল মুবারক সম্পন্ন করেন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মুল খইর, ফক্বিহাতুন নিসা, মজিদাতুন নিসা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি।
গোসল মুবারক-এর পরে উনার চেহারা মুবারক আরো নূরে আলোকিত হয়ে যায়। ফযর নামায-এর পূর্বে মুবারক জানাযার নামায পড়ান পঞ্চদশ হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ, ইমামে আ’যম, গাউছুল আ’যম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি।
উনার বিছাল শরীফ-এর দিনে সকাল বেলা রহমতের বৃষ্টি শুরু হয়েছিলো। বৃষ্টির পরে মৃদু বাতাস শুরু হয়েছিলো। ওই দিন আবহাওয়া যে কত মনোরম ছিলো তা বর্ণনা দিয়ে বুঝানোর মতো নয়। অর্থাৎ উনার বিছাল শরীফ-এ যে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার অবারিত রহমত নাযিল হয়েছিলো তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মূলত, উনার শানে মানুষ কি আলোচনা করবে। মানুষের ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে ওলীআল্লাহগণ উনাদের কি ছানা-ছিফত করবে? মানুষের পক্ষে উনাদের শান-মান, মযার্দা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত বুঝা কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। তবুও যতটুকু উপলব্ধি করা যায় ততটুকু আমল করা উচিত। এজন্য সকলেরই উচিত সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বিছাল শরীফ দিবস যথাযথভাবে পালন করা। খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি যেনো আমাদের সকলকে যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ওসীলায় উম্মুল খইর, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বিছাল শরীফ দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনকরার তাওফীক দান করেন। আমীন।
আমাদের মুহতারামা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল সম্মানের কিঞ্চিৎ নজির দেখে এলাম প্রভাকরদী শরীফ-এ
১৪৩২ হিজরী সনের ২৫শে শাওওয়াল শরীফ রজনীতে পৃথিবীর সোয়া তিনশ কোটি মুসলমানের একমাত্র ইমাম, ইমামে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পরমপ্রিয় আম্মাজান ক্বিবলা যিনি নকশায়ে যাহরা, কুবরাতুন নিসা, আমাদের মাথার তাজ, মুহতারামা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনি বিছাল শরীফ লাভ করেছেন। মুহূর্তেই এই সংবাদ পুরো রাজধানীসহ দেশময় এবং বিশ্বব্যাপী প্রচার হয়ে গেলো। শুরু হয়ে যায়, ঢাকা রাজারবাগ নকশায়ে নববী শরীফ আশিকান, জাকিরানগণের আগমনের ঢল। উপচে পড়ছে পুরো দরবার শরীফ। আখাছছুল খাছ সুন্নতীভাবে মহিয়শী হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার গোসল ও কাফন মুবারক সম্পন্ন হয়।
ফজরের পূর্বেই জানাযায় শরীক হতে মুসল্লীদের ভীড় হাঁপিয়ে তুলছে। জামাতের পূর্বেই অনুষ্ঠিত হয় জানাযার নামাযের জামায়াত।
ইমামতি করেন, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। অতঃপর দ্বিতীয় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯.৩০ মিনিটে। অতঃপর বিশাল গাড়ির বহর রাজারবাগ দরবার শরীফ থেকে আজিমুশ শান মুবারক মাইয়্যিত শরীফ উনাকে নিয়ে রওয়ানা নূরানীগঞ্জ, আড়াইহাজারের ঐতিহাসিক প্রভাকরদী শরীফ বিখ্যাত সাইয়্যিদালয় সেই চির কীর্তিমান মিয়াবাড়ী, ক্বায়িম মাক্বাম-এ জান্নাতুল বাক্বী গোরস্তান প্রাঙ্গণে এসে গাড়ির বহর থেমে যায়। আমন্ত্রিত মানুষ আর মানুষ।
লক্ষ্যণীয়, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। থেকে থেকে ঝম ঝম করে বৃষ্টি হচ্ছে। আবার থেমে যাচ্ছে- এভাবেই চলছে।
এরই মধ্যে সলাতুল যোহর মিয়াবাড়ী জামে মসজিদে জামায়াতের সাথে আদায় হলো। অতঃপর সংক্ষিপ্ত ঘোষণা দেয়া হলো, জানাযায় শরীক হতে এলাকাবাসীকে। মুহূর্তে পুরো সাইয়্যিদি নিকেতন শরীফ লোকে লোকারণ্য হয়ে গেলো। অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় জানাযার জামাত। অতঃপর দাফন, তালকীন, মীলাদ শরীফ ও দোয়া মুনাজাত, তবারুক বিতরণ হয়। পরিশেষে প্রস্থান।
এর মধ্যে কোনো বৃষ্টি নেই। পুরো শুষ্ক অবস্থায় ইতিমিনানের সাথে হাজারো জনতার বিশাল কাতার দর্শনীয় করে তুলে। নিশ্চয়ই ইহা মহাসম্মানিত ছাবিরা, শাকিরা, হাবীবা, মালিহা, সাইয়্যিদা মুহতারাম, হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মর্যাদা মর্তবার বহিঃপ্রকাশ। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের উক্ত খুছুসিয়তের হিস্সা নছীব করুন। (আমীন)
সাইয়্যিদাহ শাহী দাদী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শান মুবারকে
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম হলেন সাইয়্যিদাহ হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম। তিনি ১৪৩২ হিজরী সনের ২৫শে শাওওয়াল শুক্রবার দিবাগত রাত প্রায় ১০টা ৫৫ মিনিটে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার দীদারে চলে যান। সাইয়্যিদাহ শাহী দাদীজান উনাকে যতক্ষণ সময় দেখেছি উনি সবসময় তওবা ইস্তিগফার করতেন। উনি সবসময় কুরআন তিলাওয়াত করতেন এবং তিলাওয়াত শুনতে পছন্দ করতেন, উনি প্রতি শুক্রবার হাত-পা মুবারক-এর নখ মুবারক কাটতেন। এছাড়া উনি সবসময় তাসবীহ তাহলিলে মশগুল থাকতেন। প্রায় রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেন। বিছাল শরীফ লাভের পর উনার চেহারা মুবারক অতীব নূরানী হয়ে যায়। আরবী অনুযায়ী ৯৯ বছর ৩ মাস বয়স মুবারক হলেও বিছাল শরীফ-এর পরে উনাকে ২৫-৩০, ৩০-৩৫ বছরের মহিলাগণ উনাদের মতো দেখা গেছে। সুবহানাল্লাহ!
আসলে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদেরকে তো খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনিই হিফাজত করেন, আমরা গোলামরা আজীবন লিখে গেলেও তো উনার বেমেছাল ছানা-ছিফত শেষ হবে না। ইয়া শাহী দাদীজান! এই অধমাকে আপনি ক্ষমা করে দিন, এই অধমার ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিন, কবুল করে নিন। আমীন!
আয় আল্লাহ পাক! আপনি আমাদেরকে আজীবন আহলে বাইত শরীফ উনাদের ছানা ছিফত করার, মুহব্বত করার এবং তা’যীম তাকরীম করার তাওফীক দান করুন। আমীন!
“ছল্লু আলা শাহী দাদী ক্বিবলা
ছল্লু আলা শাহী দাদী ক্বিবলা”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল কারামত
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল ইজ্জত তিনি কালাম পাক-এ ইরশাদ করেন, “সাবধান! যারা খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, উনাদের কোনো ভয় নেই, চিন্তাও নেই।”
মূলত, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবুব ওলী তথা হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক এবং হাবীব সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ নায়িব। তাই সকল মাখলূকের মধ্যে ভয়-ভীতি থাকলেও, সকল সৃষ্টি চিন্তিত হলেও ওলীআল্লাহগণ উনাদের কোনো ভয় ও চিন্তা নেই।
পৃথিবীতে যত হক্কানী-রব্বানী শায়েখ বা মুর্শিদ তাশরীফ এনেছেন, বর্তমানে আছেন এবং ভবিষ্যতে আসবেন উনাদের সকলেরই শ্রেষ্ঠ রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। যিনি বর্তমান যামানার সম্মানিত মুজাদ্দিদ, সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ তথা মুজাদ্দিদে আ’যম। তিনি খাছ আওলাদে রসূল। আর উনারই প্রাণপ্রিয় আম্মাজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি যে কত বড় ওলীআল্লাহ, বেমেছাল শান-মান, বেমেছাল বুযূর্গী যা বর্ণনা করা আমার মতো নগণ্য ব্যক্তির পক্ষে কোনোদিনও সম্ভব হবে না।
মূলত, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার কারামত, বুযূর্গী আলোচনা করে, কারামত লিখে, কারামত প্রকাশ করে, কারামত শুনে এবং কারামত পড়ে আমরাই মর্যাদা-সম্মান লাভ করবো। আমাদেরই ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ অর্জিত হবে। সুবহানাল্লাহ!
২৪শে শাওয়াল-১৪৩২ হিজরী, জুমুয়াবার। প্রত্যেক সপ্তাহে জুমুয়াবার দিন আসলেই সাইয়্যিদুনা হযরত দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হাত-পা মুবারকের নখ মুবারক কাটতেন, গোসল করতেন এবং সোমবার শরীফও তিনি গোসল করতেন। উনি যে এত পবিত্রা ছিলেন সেটা বেমেছাল।
প্রত্যেক জুমুয়াবারের মতো তিনি বিছাল শরীফ-এর আগের দিন ২৪ শাওয়াল জুমুয়াবার নখ কেটেছেন, গোসল করেছেন অতঃপর তিনি কিছু নাস্তা মুবারক খেয়ে ঘুমিয়েছিলেন। ঘুম থেকে জেগে তিনি যুহর নামায আদায় করার পর দুপুরের খাবার খেয়েছেন। এরপর আসর নামাযের সময় হলে তিনি আসর নামায আদায় করেছেন এবং যথারীতি মাগরিবের নামাযও আদায় করেছেন। মাগরিব নামাযবাদ তিনি সবার জন্য দোয়া করেছেন এবং আবারও ঘুমিয়েছেন। ঘুম থেকে জেগে উঠে তিনি ওযূ করে এসে বিছানায় বসে বসে কলেমা শরীফ পাঠ করছিলেন। অতঃপর তিনি আমাদের সামনেই সন্তান যেমন মায়ের বুকের দুধ খেতে খেতে ঘুমিয়ে যান তেমনিভাবে আমাদের মাঝ থেকে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দীদার মুবারক-এ চলে যান। সুবহানাল্লাহ!
তখন ২৪ শাওওয়াল দিবাগত রাত ১০টা ৫৫ মিনিট। অর্থাৎ ২৫শে শাওওয়াল, ১৪৩২ হিজরী, শনিবার হযরত দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেন।
সাইয়্যিদাতুন নিসা, উম্মু মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল হযরত দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বার্ধক্যজনিত কারণে পিঠ মুবারক একটু বাঁকা হয়েছিলেন। কিন্তু খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইহসান, হযরত দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বিছাল শরীফ-এর সাথে সাথে উনার পিঠ মুবারক সোজা ও সুন্দর হয়ে যায়। উনার চেহারা মুবারক হতে নূর চমকাচ্ছিলো। গোসল ও কাফন পরানোর সময় মনে হচ্ছিলো উনি নতুন দুলহান, মুচকি হাসছেন। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাইয়্যিদাতুন নিসা, উম্মু মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল হযরত দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি সবসময় ডান কাত হয়ে ঘুমাতেন। কখনো বাম কাত হয়ে ঘুমাতেন না। তিনি খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত আমল সুন্নতী কায়দায় করতেন। তাছাড়া কেউ যদি উনার সামনে কোনো নেককাজ করতো তখন উনি খুব খুশি হতেন এবং তার জন্য দোয়া করতেন।
আমি উনার একজন নগণ্য খাদিমা। এখনও আমার মনে হয় উনি আমাকে ডাকছেন। রুমে ঢুকে দেখি উনি নেই কিন্তু উনার সবকিছুই রয়েছে।
পরিশেষে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং বর্তমান যামানার খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ও উনার আহাল পাক আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। সর্বোপরি সাইয়্যিদাতুন নিসা, উম্মু মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল হযরত দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার কাছে আমার সমস্ত ভুলত্রুটি ক্ষমা চাচ্ছি এবং হাক্বীক্বী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ কামনা করছি।
তিনি এমন এক মর্যাদাসম্পন্না ওলীআল্লাহ, যে মাক্বামে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর কেউ পৌঁছাতে পারবে না
আমাদের মহাসম্মাফনতা সাইয়্যিদাহ হযরত দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি এমন এক মর্যাদার অধিকারিণী সেই অবস্থান বা মাক্বামে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর কেউ কখনো পৌঁছতে পারবে না। যা হচ্ছে, ‘উম্মু মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহাস সালাম হওয়ার সুমহান মর্যাদা। অর্থাৎ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিতা মাতা তিনি, সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ মহান মাক্বাম বা অবস্থান আর কেউ হাছিল করতে পারবে না।
অর্র্থাৎ তিনি এমন এক মহান মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন যে, উনার পবিত্র রেহেম শরীফ মুবারক এর মাধ্যম দিয়ে আগমন করে যমীনবাসীকে ধন্য করেছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম।
সুতরাং উনার পবিত্র মান, শান, মর্যাদা, কত বেমেছাল হতে পারে তা বর্ণনা করা সম্ভব নয়। একই সাথে যেই মহান মাতার মাধ্যমে আগমন করেন মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সমস্ত পৃথিবীকে পবিত্র করেন, অজ্ঞতার অন্ধকার হতে আলোর পরশ দান করেন। সেই মহান মাতার পবিত্রতা কত মহিমান্বিত হতে পারে তা চিন্তা করাই কারো পক্ষে সম্ভব নয়।
মূলত, আমাদের মহাসম্মানিতা হযরত দাদীজান হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম, তিনি আমাদের জন্য যে মহান নিয়ামত হাদিয়া করেছেন, সেই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে আমরা কিয়ামত অবধি শেষ করতে পারবো না। আর তাই, সাইয়্যিদাহ দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র ক্বদম মুবারক-এ আমরা নাতিগণ অক্ষম হয়েই আবাদুল আবাদের তরে দয়া, ক্ষমা ও নেক দৃষ্টি ভিক্ষা চাচ্ছি।
হে ত্বহিরা, তইয়্যিবা দাদীজান! আপনার মুবারক ক্বদমে আমরা নাতিরা ক্ষমা চাই ॥
হে আমাদের সম্মানিতা দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম! আমরা আপনাকে এতো কাছে পেয়েও আপনার খিদমত করতে অক্ষম হয়েছি!
আপনি উম্মু মুজাদ্দিদে আ’যম, আপনার অনেক সম্মান। আপনাকে কাছে পেয়ে আমাদের উচিত ছিল খিদমতে উজাড় হওয়া। সর্বদা আপনার খিদমতের ফিকিরে থাকা। কিন্তু নাতি হিসেবে আমরা সেই মহান নিয়ামত থেকে নিজেরাই নিজেদের মাহরুম করেছি!
হে সম্মানিতা দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম! মুজাদ্দিদী হুযরা শরীফে আপনার মুবারক তাশরীফে আমরা দেখেছি মুর্শিদ ক্বিবলা কত বেমেছাল খুশি হন, কত আয়োজন করেন, আম্মাজী ক্বিবলা কতটুকু উচ্ছ্বসিত হন, আহলে বাইত শরীফ কত আনন্দ করেন! কিন্তু সেই মহান খুশিতে আমরা নিজেদের উজাড় করতে কার্পণ্য করেছি।
হে মহাসম্মানিতা দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম! আপনার মহান বিছাল শরীফ এর এই দিনে আমরা নাতিরা আমাদের এই অক্ষমতার জন্য আপনার মুবারক ক্বদমে ক্ষমা ভিক্ষা করছি, দয়া প্রার্থনা করছি এবং অনন্তকালের জন্য সন্তুষ্টি প্রার্থনা করছি।
সুমহান ২৫শে শাওয়াল শরীফ: সাইয়্যিদাতুন নিসা, উম্মু মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি মহান রব্বুল আলামীন উনার দীদারে যান
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন অর্থাৎ “যিনারা খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় শহীদ (বিছাল শরীফ) হয়েছেন তোমরা উনাদেরকে মৃত বলো না। বরং উনারা জীবিত। কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারছো না।” (সূরা বাক্বারা: আয়াত শরীফ-১৫৪)
অর্থাৎ যে সকল মহান ব্যক্তি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত ও পথে পথ থেকে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টির জন্য বিছাল শরীফ লাভ করেন; মূলত উনারা জীবিত। সুবহানাল্লাহ!
আর আউলিয়ায়ে কিরাম রমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের শান মুবারক-এ বলা হয়েছে “ওলীআল্লাহগণ উনারা মৃত্যুবরণ করেন না বরং উনারা অস্থায়ী জগত থেকে স্থায়ী জগতের দিকে প্রত্যাবর্তন করেন।” (মিরকাত শরীফ-৩য় খ-, ২৪১ পৃষ্ঠা)
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার সবচেয়ে প্রিয় মাহবূবা ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, আদরের দুলালী, নয়নমণি প্রিয় আওলাদে সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন বেমেছাল শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা ও ফাযায়িল-ফযীলতের অধিকারিণী। একদিকে তিনি হচ্ছেন, আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। বিশেষ করে তিনি সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সুমহান মুজাদ্দিদ মুজাদ্দিদে আযম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল উমাম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত মাতা। সুবহানাল্লাহ! খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত মাতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমীনা আলাইহাস সালাম উনার কায়িম-মাক্বাম হচ্ছেন উম্মুল খায়ির সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
উম্মুল খায়ির সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি ২৫শে শাওওয়াল শরীফ (১৪৩২হি:) ইয়াওমুস সাবতি (শনিবার) রাত ১০ : ৫৫ মিনিটে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দীদারে চলে যান। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)।
হে সম্মানিতা দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম! সত্যিই আপনি উম্মে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বায়িম-মাক্বাম
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিনি আম্মাজান উনি ছিলেন ত্বাহিরা, ত্বয়্যিবাহ সর্বোচ্চ মাক্বামে মাহমুদার অধিকারিণী। সুবহানাল্লাহ!
আর উনাকে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মাক্বামে মাহমুদা দুনিয়াতে হাদিয়া করেছেন। কারণ উনার রেহেম শরীফ-এ তাশরীফ আনেন দো-আলমের বাদশাহ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
ঠিক তদ্রপ, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিনি আওলাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার যিনি আম্মাজান উনাকেও খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ত্বাহিরা, ত্বইয়্যিবাহ করে পাঠান, সেটা আমাদের ভাষার সীমাহীন বাইরে উনি ছিলেন মাক্বামে মাহমুদার চরম-পরম অধিকারিণী। উনার আখলাক মুবারকে সর্বত্র ফুটে উঠত প্রকাশ পেত উম্মে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল আখলাক মুবারক।
যখন উম্মে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার দীদারে যান তখন উনি উনার যোগ্য আওলাদ খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার পরে যাঁর স্থান হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে না’ত শরীফ পাঠ করছিলেন! খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে উনার উসীলা দিয়ে দুনিয়াবাসীর জন্য দোয়া করেছিলেন। আর সেই না’ত শরীফখানিই হলো পৃথিবীর সকল মাখলুকের হৃদয় জুড়ানো নাতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
ঠিক তদ্রপ, আমাদের দাদীজান আলাইহাস সালাম উনিও খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার দীদারে যাওয়ার পূর্বে অর্থাৎ বিছাল শরীফ-এর পূর্বে উনার যিনি যোগ্য আওলাদ মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম এবং উনার আহলে বাইতগণ আলাইহিমুস সালাম উনাদের জন্য হাত তুলে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে ফরিয়াদ করেন। উনার উসীলা দিয়ে কায়িনাতবাসীর জন্য দোয়া করেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাহ দাদী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি যেন আমাদেরকেও আপনার মুবারক না’ত শরীফ পাঠ করার, সেই অনুযায়ী আমল করার তাওফীক দিন। (আমীন)
উম্মু সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী ও সম্মান
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদীছে কুদছী শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “আমি পুশিদা ছিলাম। যখন আমার মুহব্বত হলো যে, আমি প্রকাশ পাই; তখন আমি আমার হাবীব, নূরে মুজাসাসম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করলাম। যেন মাখলুকাত আমার পরিচয় লাভ করতে পারে।”
মূলত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী পরিচয়, মা’রিফাত-মুহব্বত যে যতটুকু লাভ করতে পারবে সে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিকট ততোটুকু ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান হাছিল করতে পারবে।
সেটাই আমরা দেখতে পাই, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন উনার মুহতারামা আম্মাজান হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার রেহেম শরীফ-এ অবস্থান করছিলেন তখনই খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি হযরত মা আমিনা আলাইহাস সালাম উনাকে বিভিন্ন নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম সালাম উনাদের মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল শান-মান, ফাযাযিল, ফযীলত সম্পর্কে, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার পরেই যে উনার স্থান সেই সম্পর্কে, তিনি যে হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল সেই সম্পর্কে অবহিত করেছেন। শুধু তাই নয়, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি নিজেই হযরত মা আমিনা আলাইহাস সালাম উনাকে অনেক পূর্বেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে অবহিত করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর অন্যান্য যাঁরা রয়েছেন, উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জাহিরীভাবে নুবুওওয়াত প্রকাশের পর তিনি নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল এবং খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার পরেই যে উনার মাক্বাম-এই ব্যাপারে অবহিত হয়েছেন।
অনুরূপভাবে আমাদের প্রাণের আক্বা, সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি যে সৃষ্টির শুরু থেকে এই পর্যন্ত যত আউলিয়ায়ে কিরাম এসেছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত যতো আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা আসবেন উনাদের প্রত্যেকের সাইয়্যিদ, তিনি যে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম এই বিষয়টি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত মা আমিনা আলাইহাস সালাম আমাদের মহাসম্মানিতা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি রেহেম শরীফ-এ তাশরীফ নেয়ার পূর্বে এবং রেহেম শরীফ-এ অবস্থানকালীন সময়ে জানিয়েছেন।
এছাড়া অনেক নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম এবং হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা এই ব্যাপারে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে উনাকে সুসংবাদ প্রদান করেছেন। যদিও কায়িনাতবাসী এই বিষয়গুলো জেনেছে অনেক অনেক পরে। সুতরাং এখান থেকেই সুস্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, সুলত্বানুল আরিফীন, কুতুবুল আলম, হাবীবাতুল্লাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত মা আমিনা আলাইহাস সালাম, উম্মু সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আমাদের মহাসম্মানিতা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান কতটুকু; যেটা বলার অপেক্ষাই রাখে না। সুবহানাল্লাহ!
ক্বায়িম মাক্বামে হযরত আমীনা আলাইহাস হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবা
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার আলোচনা, আপনার মর্যাদা-মর্তবাকে বুলন্দ করেছি।” অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু আল্লাহ পাক নন, এছাড়া বাকি যত মর্যাদা-মর্তবা, বুযূর্গী-সম্মান রয়েছে সমস্ত মর্যাদা-মর্তবা, বুযূর্গী-সম্মানের অধিকারী তিনি।” সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ করেন, “হে আমার পেয়ারা হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার হাদিয়া করেছি।” (সূরা কাওছার : আয়াত শরীফ ১)
অর্থাৎ খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘খইরে কাছীর তথা সমস্ত প্রকার ভালাই হাদিয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার সাথে সম্পৃক্ত বিষয়ের মর্যাদা অন্যান্য সমস্ত বিষয় থেকে লক্ষ-কোটি গুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ!
যেমন উনার ক্বদম মুবারক-এর স্পর্শ পেয়েছে এরূপ মাটি মুবারক-এর মর্যাদা খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার আরশে আযীম-এর চেয়ে লক্ষ-কোটি গুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ!
আর সাইয়্যিদুল মুজাদ্দিদীন, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সর্বকালের সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, আওলাদে রসূল মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। তিনি হচ্ছেন সৃষ্টির শুরু থেকে এই পর্যন্ত যত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম এসেছেন এবং ক্বিয়ামত অবধি আসবেন উনাদের প্রত্যেকের সাইয়্যিদ। সুবহানাল্লাহ!
তাই সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি বিষয়ের মর্যাদা-মর্তবা, বুযূর্গী-সম্মান ও অন্যান্য সকল বিষয় থেকে লক্ষ-কোটি গুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা মাতা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত আমীনা আলাইহাস সালাম উনার মর্যাদা-মর্তবা, বুযূর্গী-সম্মান যেমন সমস্ত কায়িনাতবাসীর উপর তিনি শুধু খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক নন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন এছাড়া সমস্ত মর্যাদা-মর্তবার অধিকারিনী; তেমনিভাবে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিতা মাতা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, আওলাদে রসূল, কায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম, আমাদের মহাসম্মানিতা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মর্যাদা-মর্তবা, বুযূর্গী-সম্মানও সমস্ত কায়িনাতবাসীর উপর, তিনি শুধু নবী-রসূল নন এছাড়া সমস্ত মর্যাদা-মর্তবার অধিকারিনী তিনি। সুবহানাল্লাহ!
উম্মু সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন মর্যাদা
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুমিনদের নিকট তাদের জানের চেয়েও অধিক প্রিয় এবং উনার আহলিয়া তথা উম্মুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছে মুমিনগণের মাতা।”
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যাঁরা আহলিয়া রয়েছেন, উম্মুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম রয়েছেন উনারা সমস্ত কায়িনাতবাসীর মা এবং এমনকি সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও মা। সুবহানাল্লাহ! আর সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মু হাবীব হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন স্বয়ং যিনি হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী এবং হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা মা অর্থাৎ তিনি হযরত উম্মুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরও মা। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং উনার মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত কতটুকু সেটা এই বিষয়টি থেকে সুস্পষ্ট হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুজাদ্দিদীন, সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুবহু নকশা। সৃষ্টির শুরু থেকে এই পর্যন্ত যত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম এসেছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত যতোজন আসবেন তিনি হচ্ছেন প্রত্যেকের সাইয়্যিদ, তিনি হচ্ছেন সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম। আর উনার যিনি পূত-পবিত্রা আহলিয়া, সাইয়্যিদাতু নিসাইল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, আওলাদে আমাদের মুহতারামা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত মুরীদীনদের মা, সমস্ত আওলিয়ায়ে কিরাম উনাদেরও মা। সুবহানাল্লাহ!
আর সাইয়্যিদাতু নিসাইল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মু সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম তিনি আমাদের মহাসম্মানিতা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম। তিনি হচ্ছেন স্বয়ং যিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বায়িনাতে যতো মুজাদ্দিদগণ এসেছেন এবং ক্বিয়ামত অবধি আসবেন উনাদের প্রত্যেকের সাইয়্যিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, আস সাফফাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা মা অর্থাৎ তিনি উম্মুল মুরিদীন, উম্মুল মুমিনীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, আওলাদে রসূল আমাদের মহাসম্মানিতা আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনারও মা। সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং উম্মু সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম, হাবীবাতুল্লাহ, আওলাদে রসূল, আমাদের প্রাণ প্রিয়া, মুহতারামা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান কতটুকু সেটা এখান থেকেই সুস্পষ্ট হয়ে উঠে। সুবহানাল্লাহ! যেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
উম্মু মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বিছাল শরীফ-এ কেঁদে উঠে মুসলিম জগৎ
হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা মহিয়সী, মুহতারমা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম ২৫শে শাওওয়াল (১৪৩২ হিজরী) শরীফ রজনীতে বারে ইলাহী রফিক্বে আলা উনার দীদারে যেতে বিছাল শরীফ লাভ করেন। তিনি ছিলেন মুত্তাক্বিনগণের আদর্শ, অতুলনীয়া, পরহেযগার, বেমেছাল পর্দানশীন, গভীর ফিকিরের এক মহাসাগর, ইলাহী ইশকের তিনি অনুসরণীয় মাহবুবায়ে আলীয়া। তিনি ইনছাফের অপ্রতিদ্বন্দ্বী দানশীলা। অসহায় তরে প্রসারিত হস্ত। সুবহানাল্লাহ!
বর্তমান এই ফিতনা বেষ্টিত জাহিলিয়াতের তামাশায় ছাহিবাতুল ফাদ্বলি মুহতারামা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন হাক্বীক্বী আল মুফলিহাত অর্থাৎ সফলতা লাভকারিণী। সত্যিই উনার মুবারক বিছাল শরীফ-এ মুসলিম উম্মাহ ও বিশেষ করে নারী জাতি এক অমূল্য বেমেছাল সম্পদ হারালো। এই দুঃখ ও বেদনায় পুরো কায়িনাত জুড়ে শোকের লুহাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। দুনিয়া মাতমে রহে ছয়লাব। আহাজারি যেন বেসামাল হয়ে আছড়ে পড়ছে।
আমরা মুসলিম উম্মাহ তথা নারী জাতি উনার আদর্শ গ্রহণে আগ্রহী হলেই কামিয়াব হবো। উনার পুরো জিন্দেগী অনুসরণীয়ের এক দীপ্ত মাইলফলক। খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন সাইয়্যিদাতুন নিসা মুহতারামা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার হাক্বীক্বী অনুসারী হওয়ার তাওফীক দান করেন। আমীন।
আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাহবুবা
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যুগে যুগে অসংখ্য অগণিত ওলীআল্লাহ (পুরুষ বা নারী) উনাদেরকে মানুষের হিদায়েত দানের জন্য পেরণ করেছেন, করছেন এবং ক্বিয়ামত অবধি প্রেরণ করবেন।
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহাস সালাম উনাকে আখাছছুল খাছ ওলী হিসেবে মনোনীত করেন। উনার মাধ্যমেই দুনিয়াতে প্রেরণ করেন সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর মহান ইমাম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে। দুনিয়ার যমীনে যদি সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি না আসতেন তাহলে বর্তমান যামানায় ইসলামকে সমুন্নত অবস্থায় পাওয়া আমাদের পক্ষে কখনোই সম্ভব হতো না। এমনি একজন মহান মুজাদ্দিদ উনার আম্মা হুযূর আমাদের সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম। তাহলে তিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার কত আখাছছুল খাছ ওলীর অন্তর্ভুক্ত তা মানুষের পক্ষে চিন্তা করা কখনোই সম্ভব নয়। মূলত, পঞ্চদশ হিজরী শতকে উনার উসীলায় যমীনে ইসলাম সমুন্নত অবস্থায় আছে। উল্লেখ্য, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বিছাল শরীফ দিবস ২৫শে শাওওয়াল ১৪৩২ হিজরী। এই দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করা বান্দা-বান্দীদের দায়িত্ব-কর্তব্য।
কারণ ওলীআল্লাহগণ উনাদের মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা সকলেরই জন্যই আবশ্যক। এজন্য সকলের উচিত হবে এই মহান বিছাল শরীফ দিবস উপলক্ষে মীলাদ শরীফ-এর আয়োজন করা এবং বিছাল শরীফ দিবস-এর উসীলায় আমাদের জন্য দুয়া মুনাজাত করা।
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি অনেক বড় ওলীআল্লাহ
আমাদের প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা আম্মাজান উম্মুল খয়ের, সাইয়্যিদাহ, ত্বয়্যিবাহ, ত্বহিরাহ হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি ১৪৩২ হিজরীর ২৫শে শাওওয়াল শরীফ খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দায়িমী দীদার মুবারক লাভ করেন। সাইয়্যিদাহ হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার আখাছছুল খাছ মক্ববুল ওলী ছিলেন। তিনি উচু পর্যায়ের ওলীআল্লাহ ছিলেন; যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
তিনি এমন ওলীআল্লাহ ছিলেন যে, তিনি নিজের মতের চেয়ে অন্যের মতকে প্রাধান্য দেয়া বেশি পছন্দ করতেন, তিনি নিজে খাওয়ার চেয়ে অন্যের খাওয়া-দাওয়ার দিকে বেশি লক্ষ্য রাখতেন অর্থাৎ তিনি ছিলেন অত্যন্ত দানশীলা, দয়াশীলা যা কল্পনা করাও কারো পক্ষে সম্ভব নয়।
তিনি দুনিয়াবী হায়াত মুবারক-এ থাকাকালীন একদিনের ঘটনা। তিনি অধিক বার্ধক্যজনিত কারণে জীবনের শেষের দিকে চক্ষু মুবারক-এ স্বাভাবিকভাবে দেখতেন না। কিন্তু তিনি কে কী করে, না করে সবকিছুই বলতে পারতেন।
একদা আমি ও একজন খাদিমা উনার খিদমতে ছিলাম। ওই খাদিমা উনাকে বেদানার জুস খাওয়াচ্ছিলেন। তিনি অল্প একটু পান করে বলতেন এবার তুমি খাও। কিন্তু ওই খাদিমা না খেয়েই বললো, দাদী হুযূর ক্বিবলা! আমি খেয়েছি, এবার আপনি খান। কিন্তু হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি যেহেতু খালিছ ওলী; তাই তিনি স্বাভাবিকভাবে না দেখলেও অন্তরচক্ষু মুবারক-এ সবকিছুই অবলোকন করে থাকেন। যেটা হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “ওলীআল্লাহগণ উনাদের অন্তর দৃষ্টিকে ভয় করো, নিশ্চয়ই উনারা অন্তর দৃষ্টি দিয়ে সবকিছু অবলোকন করে থাকেন।” তাই তিনি বললেন, ‘মিথ্যা কথা, তুমি খাওনি।” সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ ওই খাদিমা যে খায়নি, সেটা তিনি বুঝে ফেললেন এবং তিনি দেখলেন। সুবহানাল্লাহ!
এছাড়াও সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি যদি হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার হুযরা শরীফ-এ প্রবেশ করতেন, তখন হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি বুঝতে পারতেন এবং অনেক খুশি হতেন এবং বলতেন, ‘আমার মা এসেছেন। তিনি আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করতেন।
মূল কথা এটাই যে, তিনি অন্তরচক্ষু মুবারক দিয়ে সবকিছু দেখতে পারতেন, যেহেতু তিনি অনেক বড় ওলীআল্লাহ।
সাইয়্যিদাহ শাহী দাদীজান
দুনিয়ার যমীনে যত মুজাদ্দিদ আগমন করেছেন তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ হচ্ছেন পনেরশত শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! আমাদের দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন মুজাদ্দিদগণ উনাদের আম্মাজান উনাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠা। সুবহানাল্লাহ!
আমাদের দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম ছিলেন সর্বগুণে গুণান্বিত। সর্বশ্রেষ্ঠা জ্ঞানী, পরম দয়ালু, সদা হাস্যময়ী, সর্বশ্রেষ্ঠা দানশীলা, সর্বশ্রেষ্ঠা বিনয়ী অর্থাৎ সমস্ত ছিফত-এর অধিকারিনী। সুবহানাল্লাহ! আওলাদে রসূলগণ উনাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠা। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা অপেক্ষা করছিলেন উনার মুবারক তাশরীফের জন্য। সুবহানাল্লাহ!
হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের দুনিয়াতে আগমন উম্মতের জন্য রহমত, বরকত সাকীনা হাছিলের কারণ এবং উনাদের বিদায়ের দিনও উম্মতের জন্য রহমত, বরকত, সাকীনা হাছিলের কারণ। তেমনি যারা নায়িবে নবী, ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া উনাদের তাশরীফ এবং বিদায়ের দিনও রহমত বরকত সাকীনা হাছিলের কারণ। সুবহানাল্লাহ!
আমাদের দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে যারা দেখেছেন, মুহব্বত করেছেন, খিদমত করেছেন উনারাও জান্নাতী। সুবহানাল্লাহ! উনার উসীলায় আমরা আমাদের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম, হাবীবায়ে আ’যম, উম্মুল উমাম হযরত আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে এবং হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পেয়েছি। সুবহানাল্লাহ! উনাদের উসীলায় ঈমান ফিরে পেয়েছি, আক্বীদা বিশুদ্ধ করতে পারছি, আমল করার কোশেশ করতে পারছি, ইখলাছ শিখছি। সুবহানাল্লাহ!
মহান খালিক্ব মালিক আল্লাহ পাক উনাকে জানতে পারছি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানতে পারছি। সুবহানাল্লাহ!
মোদ্দাকথা মুসলমান হিসেবে যা কিছু জানা দরকার, বুঝা দরকার ইত্যাদি সমস্ত বিষয় আমরা পেয়েছি উনাদের উসীলায়। এই বিষয়গুলো কত যে শুকরিয়ার বিষয় তা বলার মতো, লেখার মতো আমার ভাষা নেই। তারপরেও কোটি কোটি কোটি শুকরিয়া উনাদের ক্বদম মুবারকে।
আজ ২৫শে শাওওয়াল শরীফ
ছিদ্দীক্বা শ্রেণীর প্রথম পর্যায়ের ওলীআল্লাহ সাইয়্যিদাতুন নিসা, হাবীবাতুল্লাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুমহান বিছাল শরীফ-এর দিন।
উম্মাহর উচিত এ দিনের মা’রিফাত অর্জন ও হক্ব আদায়ে নিবেদিত হওয়া।
সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ ফরমান- “মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবসগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোযার বান্দা-বান্দীদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে।” (সূরা ইবরাহীম : আয়াত শরীফ ৫)
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ সূরা মারইয়াম-এর ১৫ নম্বর আয়াত পাক-এ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার শানে ইরশাদ ফরমান- “উনার প্রতি শান্তি সালাম অবারিত ধারায় বর্ষিত হোক, যেদিন তিনি দুনিয়ায় আগমন করেন অর্থাৎ বিলাদত শরীফ লাভ করেন ও যেদিন তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেন। আবার যেদিন তিনি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবেন।” সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরও ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না। তবে আমার নিকটজন তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি সদাচরণ করবে।” (সূরা শূরা : আয়াত শরীফ ২৩)
এসব আয়াত শরীফ থেকে প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানসহ কায়িনাতের সকলের জন্যই উপলব্ধি করা জরুরী যে, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিলাদত শরীফ তথা বিছাল শরীফ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ই উম্মতের তথা কায়িনাতের জন্য বেমেছাল ফযীলত, ইতমিনান রহমত হাছিল এবং নিয়ামত হাছিলের কারণ।
প্রসঙ্গত আজ ২৫শে শাওওয়াল ছিদ্দীক্বা শ্রেণীর প্রথম পর্যায়ের একজন ওলীআল্লাহ তথা আখাচ্ছুল খাছ আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বিছাল শরীফ-এর দিন। পূর্বপুরুষের দিক থেকে উনি একদিকে সাইয়্যিদে শুহাদায়ে কারবালা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার বংশধর অপরদিকে উত্তরপুরুষে উনি, যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুহতারামা মাতা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত আমভাবে একটি মশহুর হাদীছ শরীফ-ই উনার ফাযায়িল-ফযীলত অনুধাবনের জন্য যথেষ্ট। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে- “যিনি ইলম শিক্ষা করলেন, সে অনুযায়ী আমল করলেন উনার সম্মানার্থে উনার পিতামাতাকে হাশরের ময়দানে সম্মানস্বরূপ এমন এক টুপি প্রদান করা হবে যার উজ্জ্বলতা সূর্যের আলোর চেয়েও বহুগুণ বেশি হবে।” সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ উনারা শুধু জান্নাতীই হবেননা, মহা সম্মানিত জান্নাতীই হবেন। সুবহানাল্লাহ!
তবে এটা যদি হয় সাধারণ আলিমের পিতা-মাতার ফযীলতের কথা তাহলে যিনি মুজাদ্দিদে আ’যম, যিনি লুপ্তপ্রায় সব সুন্নতের জিন্দাকারী, যিনি ইসলামের জিন্দাকারী, যার উসীলায় প্রতি মুহূর্তে শুধু লক্ষ-কোটি হক্ব আলিম নয় বরং হক্কানী-রব্বানী আলা দরজার ওলীআল্লাহ তৈরি হন; তাহলে সেই মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি মুজাদ্দিদে আ’যম উনার পিতা-মাতা উনাদের তাহলে কী ফাযায়িল-ফযীলত থাকতে পারে। মূলত এটা অকল্পনীয়, অব্যক্ত ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য।
মূলত উনারা শুধু মহা সম্মানিত জান্নাতীই নন বরং উনারা এমন অযুদ মুবারক-এর অধিকারী, যাদের জন্য জান্নাত ব্যাকুল হয়ে, অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করে, যাদের তাশরীফে জান্নাত নিজেই সম্মানিত হয়ে যায়। বলাবাহুল্য, উনারা এ সম্মানের চেয়েও মহামর্যাদাবান। এ মর্যাদা উনাদের অর্জন। উনাদের শান। উনাদের বৈশিষ্ট্য। উনারা শরহে সুদুরের কারণে কখনও মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম, উনাকে শুধু সন্তান হিসেবে দেখেননি। সব সময়ই দেখেছেন মুজাদ্দিদে আ’যম হিসেবে। যে কারণে উনারা স্বয়ং পিতা-মাতা হয়েও সম্বোধন করতেন ‘হুযূর ক্বিবলা বা মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম বলে’। সুবহানাল্লাহ!
শুধু তাই নয় উনারা মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে উনার বুযূর্গীর কারণে বেমেছাল মুহব্বত করতেন। সাইয়্যিদাতুন নিসা, কুতুবুল আকতাব, কুতুবুল ইরশাদ, হাবীবাতুল্লাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি এজন্য খাওয়ার পূর্বে সব সময় বলতেন “আমার মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি খেয়েছেন?” মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনি অকল্পনীয় পরিশ্রমের সাথে তা’লীম-তালকীন দিতে ব্যস্ত থাকলে উনি প্রায় উৎকণ্ঠা প্রকাশ করতেন, আমার মুজাদ্দিদে আ’যম এসেছেন।” সুবহানাল্লাহ!
বলার অপেক্ষা রাখেনা, আজ গোটা উম্মাহ তথা কায়িনাতের জন্য এক স্পর্শকাতর দিন। কারণ আজকের এ দিনে মহা মুহতারামা দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেছেন। তিনি যেভাবে ‘আমার মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উচ্চারণ করতেন- সে মুহব্বত, অধিকারের সাথে উচ্চারণের জন্য আর কেউই নেই।’ সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুন্নত পালনে, ইলম অর্জনে, ইলমের পৃষ্ঠপোষকতায়, ইবাদত-বন্দেগীতে নিষ্ঠায় উনি ছিলেন বেমেছাল। সংক্ষেপ কথায় উনি ছিলেন মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুহতারামা মাতা আলাইহাস সালাম। তাই কাশফ ও কারামতেও উনি ছিলেন অনন্যা।
বিছাল শরীফ-এর আগের দিনটি থেকে উনি যেন নিজ থেকেই বিছাল শরীফ লাভের জন্য প্রস্তুত হয়ে নিচ্ছিলেন। পবিত্র শুক্রবারে নখ মুবারক সব কেটেছিলেন। রাত প্রায় ১০ : ৫৫ মিনিটে বিছাল শরীফ-এর আগ মুহূর্তে ওযু করে নিয়ে বলেছিলেন আমি এখন মাবুদে মাওলার কাছে চলে যাচ্ছি। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, “মৃত্যু হলো দুনিয়া হতে জান্নাতে যাওয়ার সেতু।”
আর আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, “মৃত্যু আল্লাহ পাক উনার নিকট যাওয়ার সেতু।”
কাজেই আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের ইন্তিকাল হচ্ছে, আল্লাহ পাক উনার সাথে মিলন সেতু বা আল্লাহ তায়ালা উনার পবিত্র দীদার লাভের মাধ্যম। হাদীছে কুদসী শরীফ-এ বলা হয়েছে যে, “নিশ্চয় আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ মৃত্যুবরণ করেন না, বরং উনারা অস্থায়ী আবাস থেকে স্থায়ী আবাসের দিকে ইন্তিকাল করেন অর্থাৎ প্রত্যাবর্তন করেন।”
মূলত আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের শান-শওক্বত, মর্যাদা-মর্তবা, অভাবনীয় ও অপরিসীম, তা সাধারণ লোকের আক্বল ও দেমাগে বুঝে আসার মতো নয়। আর তাই হাদীছে কুদসী শরীফ-এ বলা হয়েছে যে, “নিশ্চয় আমার ওলীগণ আমার কা’বা
মুবারক-এর নিচে অর্থাৎ আমার কুদরত-এর মধ্যে অবস্থান করেন, আমি ছাড়া উনাদেরকে কেউ হাক্বীক্বীভাবে চিনে না।”
অতএব, আল্লাহওয়ালাগণ উনারা হায়াত মুবারক-এ দুনিয়ায় যেরূপ তা’যীম-তাকরীম ও মর্যাদার পাত্র, তদ্রপ বিছাল শরীফ-এর পরও। কারণ আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে বিছাল শরীফ লাভ করেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “যাঁরা আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় কতল হয়েছেন (শহীদ হয়েছেন), উনাদেরকে তোমরা মৃত বলোনা, বরং উনারা জীবিত। কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারছনা।”
মূলত এ আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি শহীদদের মর্যাদা বর্ণনা করেছেন। তবে প্রশ্ন উঠে আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, ফযীলত কতটুকু? মূলত যাঁরা শহীদ, উনারা অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় ইন্তিকাল করেন। আর যাঁরা আল্লাহওয়ালা উনারা অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে ইন্তিকাল করেন। যেমন- গরীবে নেওয়াজ, খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিছাল শরীফ লাভ করার পর উনার কপাল মুবারক-এ নূরানী অক্ষরে লিখিত হয়েছিল, অর্থাৎ ইনি আল্লাহ পাক উনার হাবীব, আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতেই তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!
অতএব, প্রত্যেক আল্লাহ পাক উনার ওলীগণই আল্লাহ পাক উনার খাছ মুহব্বতে বিছাল শরীফ লাভ করেন। আল্লাহ পাক তিনি কারোটা প্রকাশ করেন, কারোটা প্রকাশ করেন না। সুতরাং যাঁরা আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে বিছাল শরীফ লাভ করেন, যেমনটি সাইয়্যিদাতুন নিসা, হাবীবাতুল্লাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম করেছেন। উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত আরও অনেক বেশি, যা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়, অর্থাৎ বেমেছাল।
প্রসঙ্গত বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার অসীম অবদানের কথা স্বয়ং মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে উল্লেখ করেন। বিশেষ করে বর্তমানে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার লাইব্রেরী মুবারক-এ যে ১২ কোটি টাকার কিতাব রয়েছে এর বিরাট একটা অংশ সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার টাকায় কেনা। এছাড়াও বিভিন্ন মাহফিলে, বিভিন্ন অনুষঙ্গে, মুরীদদের চলাফেরা তথা ইবাদত-বন্দেগীর অবকাশে উনার অবদান অসীম থেকে অসীম। সুবহানাল্লাহ!
সঙ্গতকারণেই আজ উম্মাহর জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- সাইয়্যিদাতুন নিসা, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মা’রিফাত অর্জন করা উনাকে মুহব্বত করা। তা’যীম-তাকরীম করা। উনার শান মান আলোচনা করা। উনার সম্মানার্থে নেক কাজ করা এবং সমূহ হক্ব আদায় করা।
মহান মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম ও সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উসীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের কবুল করুন ও কামিয়াব করুন এবং গায়েবী মদদ করুন। (আমীন)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন