শনিবার, ৭ মার্চ, ২০১৫

পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে করতে হিন্দুস্থানের বিশিষ্ট ওলী হযরত কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন



হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি আজমিরী সানজিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রধান খলীফা কুতুবুয যামান হযরত খাজা কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ, ভারত।
চীশতিয়া খান্দানের বিশিষ্ট বুযুর্গ হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ ম্ঈুনুদ্দীন
হাসান চীশতি
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রধান খলীফা হলেন হযরত কুতুবুদ্দীন
বখতিয়ার কাক্বী
রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ‘দলীলুল আরেফীন’ নামক বিখ্যাত কিতাবের
লিখক।
উনার পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণের ঘটনাটি অনেক মশহুর। ঘটনাটি ‘কুতুবে
ছে’র’
নামক কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে।
পবিত্র ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ দিনে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার লক্ষ্যে
হযরত কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র সুন্নত
মুবারক মুতাবিক সামা মাহফিলের আয়োজন করেন। উক্ত মাহফিলে নুরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক
শানে না’ত শরীফ, ক্বাছীদা শরীফ পাঠ করা হয়। উক্ত মাহফিলের একপর্যায়ে
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মুহব্বতে হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি
উনার এক বিশেষ হাল জাহির হয়ে গেলো। বিশেষ এ হাল অবস্থায় শুধু নামাযের
 সময়ই তিনি স্বাভাবিক থাকতেন, নামায শেষে পুনরায় তিনি পূর্বের অবস্থায়
 ফিরে যেতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার মুহব্বতে তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার
হালেই ৩ দিন ৩ রাত পর তিনি ১৪ রবীউল আউওয়াল শরীফ তারিখে পবিত্র
বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার হালে তিনি পবিত্র বিছাল শরীফ
গ্রহণ করায় উনাকে ‘শহীদুল মুহব্বত’ বলা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন