শনিবার, ৭ মার্চ, ২০১৫

জালালপুরে ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সঙ্গী শাহ পয়লোয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি এর মাজার হযরত শাহ্ জালাল ইয়ামনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সঙ্গী ৩৬০ জন আউলিয়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের অন্যতম সঙ্গি হযরত শাহ কামাল ওরপে শাহ পয়লোয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি

ওলিকুল শিরোমণি হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি  উনার ৩৬০ জন  আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি  অন্যতম সঙ্গী  হযরত শাহ কামাল ওরপে শাহ পয়লোয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি  উনার মাজার শরীফ দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ইউনিয়নের মোকামদোয়ার গ্রামে অবস্থিত। মাজারটি আশার মোকাম নামেও পরিচিত এবং প্রসিদ্ধ। দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আশীকান ও ভক্তগণ যখন সিলেটে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি  ও শাহপরাণ রহমতুল্লাহি আলাইহি  উনার মাজার শরীফ জেয়ারত করতে আসেন তখন ভক্তকুল ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম আউলিয়া শাহ কামাল ওরপে শাহ পয়লোয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি  উনার মাজার শরীফ জেয়ারত করতে ভুল করেন না। 

প্রতিদিন শত শত আশিকান ভক্তরা মাজার জিয়ারত করতে আসেন। মাজারে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য রয়েছে পৃথক এবাদতখানা। আগত ভক্ত, মুসল্লি ও আশেকানদের ওজু ও বিভিন্ন কাজের জন্য রয়েছে শত বছরের প্রাচীন পুকুর। পুকুর পাড়ে রয়েছে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি  উনার আশার (লাটি) গাছসহ বিভিন্ন ধরনের পুরনো ওষধের গাছগাছালি। মাজার পরিচালনার জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে রয়েছে একটি সুদক্ষ পরিচালনা কমিটি। চার পাঁচ বছর অন্তর অন্তর কমিটি গঠন করে মাজারের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বর্তমান পরিচালনা কমিটি মাজারের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে যাচ্ছে। প্রতিনিয়তই তদারকির কারণে মাজারে আগত ভক্তরাও পরিচালনা কমিটির সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছেন। 

মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান নানু জানান, ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি  পায়ে হেঁটে জালালপুর মোকামদোয়ার গ্রামে যান। সেখানে গিয়ে বর্তমান মাজার সংলগ্ন স্থানে একটি পাথরের উপর আছরের নামাজ আদায় করেন। তাঁর হাতের চাপ সংবলিত পাথরটি এখনও মাজারে বিদ্যমান রয়েছে। হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি  হাতের লাঠি একটি স্থানে রাখলে সেখানে একটি গাছের জন্ম হয়। পাতায় আল্লাহু লেখা গাছটি প্রায় শত বছর পর বিগত ২০০৪ সনের কোন এক সময় মারা যায়। তিন আরো বলেন, আশা আরবি শব্দ। এর অর্থ লাঠি। তাই আশা বা লাঠির গাছ থেকেই মাজারটি আশার মোকাম নামে পরিচিত। 

মাজারের খাদিম ইদাই মিয়া বলেন, হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি  উনার পুকুর থেকে গজার মাছ কয়েক বছর পূর্বে হযরত শাহ কামাল ওরপে পয়লোয়ান শাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ উনার পুকুরে আনা হয়। বর্তমানে মাজারের পুকুরে অসংখ্য বৃহদাকার গজার মাছ রয়েছে। প্রতিদিন অগণিত ভক্ত মাজারে আসেন। পুকুরে গজার মাছ দেখতেও ভিড় করেন তারা। ইদাই মিয়া জানান, একটি মহল মাজারের ভূমি আত্মসাতের জন্য বিভিন্নভাবে পায়তারা করছে। তিনি বলেন, ওলির এই মাজার নিয়ে হীন কোন চক্রান্ত কাজে আসবেনা 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন