শনিবার, ৭ মার্চ, ২০১৫

সুলত্বানুল আওলিয়া মাহবূবে ইলাহী হযরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া আল হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক

সুলত্বানুল আওলিয়া মাহবূবে ইলাহী হযরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া আল হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি
 উনার পবিত্র মাজার শরীফ
সুলত্বানুল আওলিয়া মাহবূবে ইলাহী হযরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া আল হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি  (১২৩৮ - ১৩২৫ এপ্রিল ) সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক

সুলত্বানুল আওলিয়া মাহবূবে ইলাহী হযরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া আল হানাফী রহমতুল্লাহি 
আলাইহি উনার পবিত্র মাজার শরীফ

সুলতান উল মাশায়েখসুলত্বানুল আওলিয়া মাহবূবে ইলাহী হযরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া 
আল হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি  (১২৩৮ - ১৩২৫ এপ্রিল ) এছাড়াও হযরত
 নিজামউদ্দিন আউলিয়া  নামে পরিচিত , তিনি ভারতীয় উপমহাদেশ মধ্যে 
চিশতিয়া তরিকার একজন বিখ্যাত সূফী আউলিয়া ছিলেন।সুবহানাল্লাহ! .
তিনি ভারতে চিশতিয়া তরীকার মহান সূফীদের একজন। উনার পূর্বসুরীদের
 মধ্যে হজরত খাজা বাবা ফরীদুদ্দীন মাসঊদ গঞ্জে শকর রহমতুল্লাহি আলােইহি 
 হজরত বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলােইহি এবং গরীবে নেওয়াজ হজরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলােইহি  ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের চিশতিয়া তরিকায় 
আধ্যাত্মিক চেইন বা সিলসিলা



সুলত্বানুল আওলিয়া মাহবূবে ইলাহী হযরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া আল হানাফী
 রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার পূর্বসুরীদের মত, আল্লাহ পাক উনাকে বুঝতে 
ভালোবাসার জোর এবং তার জন্য আল্লাহ পাক উনার প্রেম মানে মানবতার 
প্রেম বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিলেন। উনার ধর্ম - নিরপেক্ষতা উদারতা এবং 
অত্যন্ত প্রসূত জ্ঞানের জন্য দিল্লি মুসলমানদের উপর উনার প্রভাব আর 
উপলব্ধ বিস্তার হয়েছিল। ১৪ তম শতাব্দীর ইতিহাসলেখক জিয়াউদ্দিন 
বারানি দাবি করেন, যে দিল্লি মুসলমানদের উপর তার প্রভাব এবং
 উপলব্ধীর কারনে তাদের পার্থিব বিষয়ের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হয়

১৬ শতকে মোঘল সম্রাট আকবর এর উজির আবুল-ফাযল ইবনে মুবারাক 
লিখিত "আইন--আকবর" উল্লেখ আছে সুলত্বানুল আওলিয়া মাহবূবে ইলাহী 
হযরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া আল হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি উত্তর প্রদেশের
 ( দিল্লি পূর্ব ), বাদাউন বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ কারেন করেন। পাঁচ 
বছর বয়সে উনার পিতা হজরত আহমদ বাদাউনি রহমতুল্লাহি আলাইহি  বিলাদতী 
শান প্রকাশ করার পর তিনি তার মা হযরত বিবি জুলেখা রহমতুল্লাহি আলাইহা 
উনার সঙ্গে দিল্লি চলে আসেন

বিশ বছর বয়সে,সুলত্বানুল আওলিয়া মাহবূবে ইলাহী হযরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া 
আল হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি আজওধান ( পাকিস্তান উপস্থিত পাকপাতাআন শরীফ )
 যান এবং সেখানে হজরত খাজা বাবা ফরীদুদ্দীন মাসঊদ গঞ্জে শকর রহমতুল্লাহি 
নামে পরিচিত সুফী সন্ত ফরিদ গঞ্জেসাকার রহমতুল্লাহি উনার সাথে দেখা হয় এবং 
তিনি উনার কাছে বায়াতগ্রহন করেন  সুলত্বানুল আওলিয়া মাহবূবে ইলাহী হযরত 
খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া আল হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি আজওধানে স্থায়ী 
বসবাস করলেন না। তিনি একযোগে সুফী ধার্মিক পদ্ধতি এবং নির্ধারিত
 litanies জন্য  দিল্লিতে তাঁর আধ্যাত্মিক গবেষণার সঙ্গে অব্যাহত থাক্লেন। 
তিনি হজরত খাজা বাবা ফরীদুদ্দীন মাসঊদ গঞ্জে শকর রহমতুল্লাহি উনার 
কাছে প্রতি বছর রমজান মাস কাটাতেন। যখন তিনি তৃতীয় বার হজরত 
খাজা বাবা ফরীদুদ্দীন মাসঊদ গঞ্জে শকর রহমতুল্লাহি উনার কাছে আসেন,
 হজরত খাজা বাবা ফরীদুদ্দীন মাসঊদ গঞ্জে শকর রহমতুল্লাহি উনাকে তার 
উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন। সুলত্বানুল আওলিয়া মাহবূবে ইলাহী হযরত খাজা
 নিজামুদ্দীন আওলিয়া  রহমতুল্লাহি দিল্লী ফিরে আশার কিছু দিন পরই  হজরত
 খাজা বাবা ফরীদুদ্দীন মাসঊদ গঞ্জে শকর রহমতুল্লাহি বিলাদতী শান মুবারক 
প্রকাশ করেন গ্রহন করেন
সুলত্বানুল আওলিয়া মাহবূবে ইলাহী হযরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া  রহমতুল্লাহি  
গিয়াসপুর খানকা শরিফ করার আগে দিল্লির বিভিন্ন শহরে বসবাস করেন
শহর জীবনের গোলমাল এবং তাড়াহুড়া জন্য তিনি এখানে খানকা শরিফ করেন

তিনি ১৫২৫ সালের ৩ই এপ্রিল  সকালে  বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। 
উনার দরগা  শরীফ দিল্লিতে অবস্তিত, উনার দরগা  শরীফ  বর্তমান কাঠামো 
১৫৬২ সালে নির্মাণ করা হয়। তার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন 
প্রতি বসর এখানে ওরস হয় এবং লাখ লাখ মানুষ তার দরগা জিয়ারত করতে আসেন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন