রবিবার, ৮ মার্চ, ২০১৫

হযরত শাহ্ জালাল ইয়ামনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সঙ্গী ৩৬০ জন আউলিয়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের অন্যতম সঙ্গি আউলিয়া হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি। মিরপুর, ঢাকা, বাংলদেশ।


হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি

৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ
আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি মিরপুর
পিতাঃ- বাগদাদের সুলতান ফকরুদ্দিন
শাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি
তরীকাঃ- বড় পীর ছাহেব 
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাদরিয়া তরিকা
...
সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ- হযরত বাবা শাহ্
আলি 
রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন বাগদাদের তৎকালীন
বাদশাহ বড় ছেলে। ছেলে বেলা থেকেই
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন ভাবুক ও সংসার
বিরাগী।বাবা 
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ৩০
পারা কুরআনের হাফেজ ছিলেন।সব সময়
তিনি ইবাদত বন্দেগীতেই কাটাতেন।

উনার পিতার  পর্দা পর রাজ্য
পরিচালনার ভার হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ওপর
অর্পিত হলে মাওলার প্রেমের পাগল
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তা তুচ্ছ ও নগণ্য ভেবে সমস্ত
সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে আল্লাহ্
পাকের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়েন।ভ্রমন
পথে হযরত শাহ্ জালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি,
সাথে দেখা হলে উনার সফর
সঙ্গী হয়ে বাংলায় আগমন করেন।
বাংলায় তিনি হযরত শাহ্ জালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি,উনার
নির্দেশে ফরিদ পুর জেলার
গের্দা নামক এলাকায় ইসলাম প্রচার
করেন।
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি যখন বাগদাদ
হইতে বাংলায় আসেন তখন তিনি দয়াল
নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উনার কেশ মুবারক ও গাউসুল আজম
বড় পীর ছাহেব  রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার
জামা মুবারক সঙ্গে নিয়ে আসেন।
দিল্লীর তৎকালীন সুলতান হযরত শাহ্ আলি  রহমতুল্লাহি আলাইহি,
নিকট এত মূল্যবান জিনিস দেখার সুযোগ
পেয়ে বাবাকে খুশি হয়ে ফরিদপুর
জেলার ১২ হাজার বিঘা জমি দান
করেন। সেখান কিছুকাল অবস্থানের পর
সংসার বিরাগী 
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ঢাকার
মিরপুরে চলে আসেন এবং জীবনের শেষ
পর্দা  করেন।

বলা হয়ে থাকে হযরত হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহ )বংশ ধর এখনও
জীবিত আছেন।
বাবা 
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহিকারামতঃ-
১। হাতের আশা বৃক্ষে পরিনতঃ- হযরত
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার
হাতের আশাকে কারামত শক্তির
প্রভাবে বট গাছে পরিনত করেন।
বর্তমানে ঐ গাছটা সিন্নি গাছ
নামে পরিচিত আছে।গাছটা আজও ৭০০
বছর ধরে 
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজারের
বাম পাশে মাথা উঁচু করে দারিয়ে আছে।
বহু ভক্ত আশেকান সেই গাছের
নীচে মোমবাতি আগর
বাতি জ্বালিয়ে মানত করেন।
সেখানে ভক্ত আশেকান দের মানত
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি দয়ায় অপূর্ণ থাকে না।
২।সিন্নি গাছে ভয়াবহ আগুনঃ- কয়েক
বছর আগে হহযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এই
সিন্নি গাছে হঠাৎ আগুন লেগে যায়।
তানা ৩ দিন ফায়ার সার্ভিস
চেষ্টা করেও যখন আগুন
নিভাতে পারছিলো না,তখন উপায়
বুদ্ধি না হযরত হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তৎকালীন
খাদেমের কাছে পরামর্শ চাইলে বাবার
খাদেম 
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি দরগার পানি দোঁহাই
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলে আগুনে ছুড়ে মারেন,
সঙ্গে সঙ্গে সেদিন আগুন বাবার
রহমতে নিভে যায়।
৩। বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু মাজার
শরিফঃ- শাহ আলি বাবার মাজার খুব
উঁচু। বাংলাদেশে এমন উঁচু মাজার আর ২য়
টি নেই।
৪। হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি
রহস্য জনক বিলাদত শরীফ - কথিত
আছে 
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি একবার ৪০ দিনের
চিল্লায় মগ্ন হন।চিল্লায় মগ্ন হওয়ার
আগে বাবা তার মুরিদদের ৪০ দিন পূর্ণ
হবার আগে ভুলেও যেন হুজরার
দরজা না খোলার নির্দেশ দেন।
বাবা হুজরার ভিতর আল্লাহর
সাথে ফানা ফিল্লাহর নামাজে রত হন।
ফানা ফিল্লাহর নামাজ তরীকার
জগতে খুবই কঠিন নামাজ।সব
আউলিয়ারা এই নামাজ পড়ার
যোগ্যতা রাখেন না।উল্লেখ্য এই নামাজ
পড়াকালীন সময় আল্লাহ্র তরফ
থেকে অনেক ভয়ংকর সৃষ্টির
সামনে পড়তে হয়,তাই এই নামাজ
পড়াকালিন সময়ে কেউ যদি সামান্য
মনোযোগ অন্যদিকে দেন,তাহলে আল্লাহ্র
জালালি নূরে তার দেহ ছিন্ন বিছিন্ন
হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহিকথা মত সবাই বাবার চিল্লা শেষ
হওয়ার অপেক্ষায় রইলেন।কিন্তু
চিল্লা শেষ হওয়ার ১ দিন আগে অর্থাৎ
৩৯ তম দিনে বাবার হুজরা হতে অসম্ভব
চীৎকার আসতে থাকে ।বাবার মুরিদ্গন
তখন উপায় না পেয়ে বাবার নিষেধ
থাকা সত্তেও হুজরার দরজা খুলে দেখেন
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি দেহ রক্তাক্ত অবস্থায়
ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে পড়ে আছে ।
পরে ভক্তরা বাবার সেই লাশকেই
সসম্মানে মিরপুরে দাফন করেন।
বর্তমানে মিরপুরেই বাবা হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি
পবিত্র মাজার শরিফ আছে।কথিত
আছে হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি এখনও তাহার
খাটি আশেকদের সাথে দেখা করেন।উক্ত
ঘটনা থেকে আবারও প্রমানিত হল
যে আল্লাহর অলিদের মৃত্যু
নেই,তারা অমর।
৫।২০০ বছর জন শূন্য ছিল ঃহযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর মাজার
পূর্বে এমন ছিল না।পূর্বে হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহিবাবার মাজার ছিল জনাকীর্ণ ও
সকলের কাছে অজ্ঞাত।প্রায় ২০০ বছর
বাবার মাজার এমন অজ্ঞাত ছিল।
পরবর্তীতে শাহ্ মুহাম্মাদ নামের একজন
কামেল অলি তার দিব্য চক্ষুতে হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি রওজার খবর
জানতে পেরে নিজের হাতে হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহিএর মাজার
পরিষ্কার করেন এবং সেই সাথে মাজার
পাকা করার উদ্যোগ নেন।এরপর
থেকে যতই দিন যায় বাবার মাজারের
জৌলুশ আর কখনও কমতে দেখা যায় নি।
৬।বৃহস্পতিবারের মাহফিলঃ-
প্রতি বৃহস্পতিবার হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহিমাজারে বিরাট
মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।দেশের
নামি দামি,বাউল,ফকির, সাধু
সন্ন্যাসীরা ভক্তি মুলক
গানে গানে হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর গুণগান করেন।
উক্ত দিনে হাজার হাজার মানুষের
সমাগম দেখা দেয়।সেদিন এত মানুষের
সমাবেশ ঘটে যে পুরা মিরপুর ১
নাম্বার রোডে জাম লেগে যায়।
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি
জিন্দা-অলি,আজও কোন ভক্ত যদিহযরত
হযরত শাহ আলী বোগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি কে প্রেম
ভক্তিতে ডাকেন,তাহলে বাবা সাথে সাথে তাহার
ডাকে সারা দিয়ে থাকেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন