হযরত সাইয়্যিদ আহমদ
শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একজন বিশিষ্ট খলীফা ও সহযোদ্ধা, গাজীয়ে বালাকোট হযরত নূর মুহম্মদ নিজামপুরী রহমতুল্লাহি
আলাইহি উনার পবিত্র মাযার
শরীফ বাংলাদেশে অবস্থিত। এবং অবাক করার মতো বিষয় হলো, উনার পবিত্র মাযার
শরীফ অবস্থিত চট্টগ্রামে, মীরসরাই উপজেলার মিঠানলা গ্রামে।
১৮২২ ঈসায়ী সালটি ব্রিটিশদের দলিলপত্রে অত্যন্ত গুরুত্বের
স্থান দখল করে রয়েছে। কারণ এ বৎসরই হযরত
সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার উদ্দেশ্যে হজ্জ পালনে রওয়ানা
হন। উনার সঙ্গী হন বহু বাঙ্গালী
মুসলমান, যাঁদের একজন ছিলেন হযরত নূর মুহম্মদ নিজামপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বালাকোটে
হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মর্মান্তিকভাবে শাহাদাত গ্রহণ করার আগ পর্যন্ত উনার পাশেই ছিলেন। মহান শায়েখ উনার
মুবারক শাহাদাত গ্রহণ করার পর তিনি নিজ গ্রাম মিঠানলাতে ফিরে আসেন এবং সেখানে বাকি জিন্দেগী মুবারক তা’লীম-তালক্বীনে
অতিবাহিত করেন।
অর্থাৎ পাঠকরা বুঝতেই পারছেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে তিনি কত বড়মাপের ব্যক্তিত্ব। কারণ বালাকোটের যুদ্ধই হলো পরবর্তী সমস্ত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের মাতা। উইলিয়াম হান্টার তার ‘দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস’ নামক বইয়ের শুরুতেই হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নেতৃত্বে বাঙ্গালী মুসলমানগণ উনাদের দ্বারা এই যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেছে। তবে তা অবশ্যই নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে, যেহেতু হান্টার ছিল কট্টর মুসলিমবিদ্বেষী। সে-ই সর্বপ্রথম উনাদেরকে ‘ওহাবী’ অপবাদ দিয়েছিল, যা রেজাখানি নামক বাতিল ফিরক্বার সদস্যরা অন্ধভাবে অনুসরণ করে।
অর্থাৎ পাঠকরা বুঝতেই পারছেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে তিনি কত বড়মাপের ব্যক্তিত্ব। কারণ বালাকোটের যুদ্ধই হলো পরবর্তী সমস্ত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের মাতা। উইলিয়াম হান্টার তার ‘দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস’ নামক বইয়ের শুরুতেই হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নেতৃত্বে বাঙ্গালী মুসলমানগণ উনাদের দ্বারা এই যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেছে। তবে তা অবশ্যই নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে, যেহেতু হান্টার ছিল কট্টর মুসলিমবিদ্বেষী। সে-ই সর্বপ্রথম উনাদেরকে ‘ওহাবী’ অপবাদ দিয়েছিল, যা রেজাখানি নামক বাতিল ফিরক্বার সদস্যরা অন্ধভাবে অনুসরণ করে।
অথচ এদেশে আহমদ রেজা খাঁর অনুসারী এই রেজাখানি নামক বাতিল ফিরক্বার সদস্যদের ঘাঁটি আর কোথাও নয়, চট্টগ্রামেই অবস্থিত। এখন নিশ্চয়ই পাঠকরা বুঝতে পারছেন, কেন উনার পবিত্র মাযার শরীফ চট্টগ্রামে অবস্থিত হওয়াতে লেখক আশ্চর্য হয়েছেন? যেই স্থানে হযরত নূর মুহম্মদ নিজামপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি শায়িত রয়েছেন, সেই স্থানের মানুষজনের পক্ষে এমন একটি মতবাদ ধারণ করা কি করে সম্ভব হলো, যেটার ভিত্তি রচিত হয়েছে হযরত নূর মুহম্মদ নিজামপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারই শায়েখ হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরোধিতার উপরে।
নাউযুবিল্লাহ! এও কি সম্ভব? মানুষ নিজের অতীতকে এভাবে অস্বীকার করতে পারে?
অবশ্য যে জাতি ইতিহাস সচেতন নয়, যে জাতি নিজের কৃতী সন্তানদের বীরত্বের স্বীকৃতি না দিয়ে কাফির-মুশরিকদের স্মরণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, তাদের নিকট থেকে এরচেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন