শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫

হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কথা স্মরণ করে বর্তমান যামানার দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ‘সূ’দের খালিছ তওবা করে নেয়া জরুরী!

দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী মালানা তথা উলামায়ে ‘সূ’দের অপতৎপরতায় মুসলিম মিল্লাতে কী ভয়ঙ্কর ফিতনা-ফাসাদ ছড়িয়ে পড়তে পারে এর এক ঐতিহাসিক নমুনা ইমামে রব্বানী হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার যামানা। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সেসময় মহাপ্রতাপশালী যালিম বাদশাহ আকবরের অবৈধ খায়েশকে ওয়াসওয়াসা দিয়ে জারি রাখতে সমুদয় অপতৎপরতা চালিয়েছিল এক শ্রেণীর দুষ্ট দুনিয়াদার উলামায়ে ‘সূ’ চক্র। তারা ছলে-বলে-কৌশলে হারামকে হালাল, হালালকে হারাম, পবিত্র সুন্নত উনাকে বিদয়াত, বিদয়াতকে পবিত্র সুন্নত ইত্যাদি কুফরী ফতওয়া দিয়ে বাদশাহ আকবরকে কঠিনভাবে প্রভাবিত করেছিল। নাউযুবিল্লাহ!
এ কুৎসিত বিষয়ে অতি তৎপর ছিল, মোল্লা মোবারক নাগৌরী, আবুল ফজল, ফৈজী গং প্রমুখ দরবারী দুনিয়াদার মৌলুভী। তাদের কু-প্ররোচনায় বাদশাহ আকবর অবশেষে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিপরীতে দ্বীন-ই ইলাহী নামক এক নব্য নাস্তিকীয় ধর্মনিরপেক্ষ ধর্মের নাম ঘোষণা করে। নাউযুবিল্লাহ! অতি উৎসাহী ফাসিক ফুজ্জার গং এবং যুলুমের শিকার কতিপয় লোক এতে দীক্ষিত হলেও এদের এই অপচেষ্টা অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দিলেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রেরিত খলীফা, নায়েবে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ফারূক্বী নিশানা হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি। যে আলিম নামধারীদেরকে সমকালীন বাদশাহ এবং সাধারণ জনতা সবচেয়ে বিজ্ঞ মনে করতো, তাদের নাফরমানী ফাঁস হয়ে গেল। তারা ধিকৃত হতে লাগলো। অবশেষে আকৃতি বিকৃতি ঘটে তাদের ইহ-লীলা সাঙ্গ হলো। এই ঐতিহাসিক বিষয়গুলো বর্তমান সময়ের আলিম নামধারীদের সকলের জানার কথা।
তারা ওয়াজ মাহফিল, লেখালেখি ইত্যাদিতে দুনিয়াদার আকবরী উলামায়ে ‘সু’দের কঠিন পরিণতি আলোচনা করে। কিন্তু তারা কি একবারও তাদের বর্তমান অবস্থান উপলব্ধি করে? একবারও কি বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে? যদি করতো তবে কি করে বর্তমান যামানার যালিম শাসকগোষ্ঠীর কাছে মাথা নত করে হারাম ছবি তুলতে পারে, কি করে টিভিতে অনুষ্ঠান করতে পারে, কি করে হারাম তন্ত্র-মন্ত্রের নির্বাচন করতে পারে? কি করে আহলে হক্ব যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সুমহান শান মুবারক উনার বিরোধিতা করতে পারে? তারা কি একবারও মোল্লা মোবারক নাগৌরী, আবুল ফজল, ফৈজী গংদের কুৎসিত পরিণতির কথা চিন্তা করে না? মূলত করা উচিত অবশ্যই। খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করে তাদের দ্বীনে হক্বে ফিরে আসা উচিত। নতুবা আকৃতি বিকৃতি ঘটে জাহান্নামে যাওয়ার যে সিলসিলা শুরু হয়েছে তা থেকে তারা কোনোভাবেই বাঁচতে পারবে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন