শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৫

১৪ রজব হযরত ইমাম জাফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার বিছাল শরীফ এবং ওলাদে রসূল হজরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমাতাল্লাহি আলাইহি উনার বিলাদত শরীফ

সুলতানুল মাশায়িখইমামুল মুহসিনীনইমামুস সিদ্দীকীনআওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জাফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার মুবারক পরিচয়ঃ

সুলতানুল মাশায়িখইমামুল মুহসিনীনইমামুস সিদ্দীকীনআওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জাফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন আহলে বাইত শরীফ উনাদের ৬ষ্ঠ ইমাম। উনার মুবারক নাম জাফর। জাফর অর্থ সাগর। সত্যিকার অর্থে তিনি ছিলেন ইলম,আক্বল-সমঝেমারিফাত-মুহব্বত প্রাপ্তিতে সাগরতুল্য। কুনিয়াত- আবু আবদিল্লাহ ও আবু ইসমাঈল। ছাদিক্ব হচ্ছে উনার বিশেষ লক্বব মুবারক। এই লক্বব মুবারক ছাড়াও উনার আরো অনেক লক্বব মুবারক রয়েছে যেগুলো উনার মর্যাদা-মর্তবাফাযায়িল-ফযীলতবুযূর্গী-সম্মানের বহিঃপ্রকাশ। তিনি ৯৬ হিজরী সনে মদীনা শরীফ-এ বিলাদত শরীফ লাভ করেনআর ১৪৮ হিজরী সনের ১৪ রজব ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেন। উনার সম্মানিত পিতার নাম মুবারক হচ্ছে সাইয়্যিদুনা ইমাম আবু জাফর মুহম্মদ বাকির আলাইহিস সালাম। যিনি সাইয়্যিদুনা ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার আওলাদ তথা ছেলে

উনার সম্মানিতা মাতার মুবারক নাম উম্মে ফারওয়া বিনতে ইমাম কাশিম রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি হযরত আসমা বিনতে আব্দুর রহমান ইবনে হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম উনার মেয়ে
তরীক্বতের নিসবত:
সুলতানুল মাশায়িখইমামুল মুহসিনীনইমামুল মুত্তাক্বীনফখরুল আরিফীনআওলাদে রসূলসাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জাফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি তরীক্বতের দুদিক থেকে নিসবত পেয়েছিলেন। দুদিক থেকেই তিনি খাছ ফয়েজ হাছিল করেছিলেন
প্রথমতঃ স্বীয় সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুল আউলিয়াইমামুল মুত্তাক্বীনসুলতানুল আরিফীন,আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম বাকির আলাইহিস সালাম উনার নিকট থেকে খাছ ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছিল করেছিলেন। তিনি উনাকে স্বীয় ইমাম পদে সমাসীন করেন। তিনিই হচ্ছেন উনার গদ্দিনশীন
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীবআখিরী রসূলসাইয়্যিদুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীন,নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে প্রাপ্ত খাছ নিয়ামত সীনা-ব-সীনা উনার মাধ্যমেই পেয়েছেন
দ্বিতীয়তঃ পেশওয়ায়ে দ্বীনইমামুছ ছিদ্দীকিনইমামুল মুসলিমীনসাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম কাশিম ইবনে মুহম্মদ ইবনে আবু বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম উনার থেকেও খাছ ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছিল করেন। যিনি ছিলেন উনার সম্মানিত নানাজান
পেশওয়ায়ে দ্বীনইমামুল মুসলিমীনসাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম কাশিম ইবনে মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছহিবে রসূলিল্লাহছহিবুল আসরার হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পবিত্র হাত মুবারকে বাইয়াত গ্রহণ করেন। উনার থেকে খাছ ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছিল করেন। মূলতঃ তিনিই ছিলেন উনার প্রধান খলীফা
আর ছহিবে রসূলিল্লাহছাহিবুল আসরার হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আখিরী রসূলসাইয়্যিদুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীননূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ছোহবতে থেকে খাছ ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছিল করেন। উনার বিছাল শরীফ-এর পর খলীফাতু রসূলিল্লাহআমিরুল মুমিনীনছিদ্দিকে আকবরআফজালুন্ নাছ বাদাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম উনার হাত মুবারকে বাইয়াত গ্রহণ করতঃ খাছ ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছিল করেছিলেন। (ইকতি বাসূল আনওয়ার/১৩৭)
হযরত ইমাম জাফর ছাদিক আলাইহিস সালাম উনার মুবারক নছীহতঃ
নিজেকে হারাম বস্তু থেকে বাঁচাওযা কিসমতে আছে তার উপর সন্তুষ্ট থাক। তবে ছুফীহতে পারবে
মনে রেখ মিথ্যাবাদী ভদ্র হয়নাহিংসুক আরাম পায়নাচরিত্রহীন নেতৃত্ব করতে পারেনা
দুশ্চরিত্রের সাথে চলাফেরা করিও না। তাহলে তোমার চরিত্র নষ্ট হতে সময় লাগবেনা
কারো গুণ দেখলে প্রশংসা করিও। দোষ দেখলে গোপন রাখquot;; mso-bidi-language: BN;” lang=”BN”span style=”font-family: SolaimanLipi; mso-hansi-font-family: span style=”font-family: SolaimanLipi; mso-hansi-font-family: /spanquot;Times New Romanquot;;”quot;;”িও এবং কেউ অন্যায় করিলে ক্ষমা করিও তবেই তুমিনেককার মানুষ
ক্রোধ এর উৎপত্তি আগুন থেকে আর আগুন দ্বারাই দোযখ তৈরি করা হয়েছে। অতএবসর্বদা ক্রোধ বর্জন কর
পাচঁ প্রকার লোকের সাথে সংশ্রব রাখিও না। একমিথ্যাবাদীকারন মিথ্যাবাদীর কথায়বিশ্বাস স্থাপন করে তুমি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। দুইকৃপনকারণ কৃপন নিজ লাভের জন্য তোমারক্ষতি করে বসবে। তিননির্দয়কারণ নির্দয় বিপদের সময় তোমার প্রতি দয়া দেখাবেনাচারকাপুরুষকারন কাপুরুষ বিপদের সময় নিজ নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। পাচঁ/ফাসেককারন ফাসেকের নির্দিষ্ট কোন চরিত্র নেই। সে নিজ স্বার্থে যা ইচ্ছা তা- করতে পারে
মহান আল্লাহপাক তিনি আমাদেরকে সবসময় হযরত ইমাম জাফর ছাদিক আলাইহিস সালামউনার মুল্যবান নছীহত মুবারক পালনের তৌফিক দান করুন। আমিন
সুলতানুল মাশায়িখইমামুল মুহসিনীনইমামুস সিদ্দীকীনআওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জাফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনি সকল ধরনের ইলমে পরিপূর্ণ ছিলেন।জাহির – বাতিন সকল ইলম উনার থেকে প্রবাহিত হয়েছে। বিশেষ করে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল শাখায় উনার পরিপূর্ণ পান্ডিত্ব ছিল। উনার মুরীদদের মধ্যে একেক জন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী হিসেবে খ্যাতিলাভ করেছেন। উনার অনুসরণ অনুকরনের মাধ্যমেই প্রকৃত দ্বীন ইসলাম অনুসরন সম্ভব এবং মুসলমানদের হারিয়ে যাওয়া গৌরব পুন:উদ্ধার করা সম্ভব। মহানআল্লাহপাক তিনি আমাদেরকে তৌফিক দান করুন। আমিন
সুলত্বানুল হিন্দগরীবে নেওয়াজআতায়ে রসূলহাবীবুল্লাহআওলাদে রসূল হজরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমাতাল্লাহি আলাইহি উনার বিলাদত শরীফ আসছে ১৪ ই রজব, এ উপলক্ষে উনার মুবারক শানে সংক্ষিপ্ত আলোচনাঃ
আওলিয়াকুল শিরোমণিমুর্শিদকুলের মধ্যমণিসুলত্বানুল হিন্দগরীবে নেওয়াজআতায়ে রসূলহাবীবুল্লাহআওলাদে রসূল হজরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমাতাল্লাহি আলাইহি তিনি ৫৩৬ হিজরী মতান্তরে ৫৩৭ হিজরী তবে বিশুদ্ধ মতে- ৫৩৬ হিজরীর ১৪ই রজব সোমবার দিন বিলাদত শরীফ লাভ করেন এবং ৬৩৩ হিজরী মতান্তরে ৬৩৪ হিজরী মুতাবিক ৬ই রজব সোমবার বিছাল শরীফ লাভ করেন 
হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর পিতার নাম মুবারক হযরত খাজা সাইয়্যিদ গিয়াসুদ্দীন আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং মাতার নাম মুবারক হযরত সাইয়্যিদা উম্মুল ওয়ারা রহমতুল্লাহি আলাইহা । হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর পিতৃ ও মাতৃ দুটি কুলই ছিল কুরাইশ গোত্রের শ্রেষ্ঠ শাখা সাইয়্যিদ বংশদ্ভূত। অর্থাৎ পিতা ও মাতা উভয়ের দিক দিয়ে হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন আল্লাহ পাক-এর হাবীব,সাইয়্যিদুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীনখাতামুন্‌ নাবিয়্যীননূরে মুজাস্‌সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী বা আওলাদ
উনার বয়স মুবারক যখন ১৫ বৎসরতখনই উনার পিতা-মাতা উনারা উভয়ে বিছাল শরীফ লাভ করেন। পিতা-মাতা উনারা উভয়ে যমীন থেকে বিদায়ের পর তিনি ওয়ারিশ সূত্রে শুধুমাত্র একটি যাঁতি ও একটি আঙ্গুর ফলের বাগান লাভ করেন
কিতাবে উল্লেখ করা হয়সুলত্বানুল হিন্দগরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত উক্ত বাগানে কাজ করছিলেনএমন সময় উক্ত বাগানে তাশরীফ আনলেনমজ্জুব ওলীহযরত ইবরাহীম কান্দুজী রহমতুল্লাহি আলাইহি। গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যেহেতু মাদারজাদ ওলী ছিলেনতাই উনার অন্তরে ওলীআল্লাহ উনাদের প্রতি ছিল অফুরন্ত ভক্তি ও মুহব্বত। তিনি হযরত ইবরাহীম কান্দুজী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার খিদমতে কিছু আঙ্গুর ফল পেশ করলেন
পক্ষান্তরে হযরত ইবরাহীম কান্দুজী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থলি থেকে কিছু খাদ্য বের করে চিবিয়ে গরীবে নেওয়াজহাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে খেতে দিলেন। গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উক্ত খাদ্য খাওয়ার পর উনার মধ্যে ভাবান্তর (হাল) সৃষ্টি হয়ে যায়। যার ফলে তিনি একমাত্র সম্পদ যাঁতি ও বাগান বিক্রি করে দিয়ে ইলমে দ্বীন অর্জন করার জন্য সফরে বের হয়ে যান। প্রথমে বুখারা গিয়ে সাড়ে সাত বৎসর ইলমে ফিক্বাহতে পূর্ণ ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। অতঃপর ইলমে তাছাউফ অর্জন করার লক্ষ্যে শায়খ তথা পীর ছাহেব তথা মুর্শিদ ক্বিবলা তালাশ করতে লাগলেন এবং তৎকালীন যামানার শ্রেষ্ঠ ও বিশিষ্ট বুযূর্গ ও ওলীআল্লাহ হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট বাইয়াত হয়ে প্রায় সাড়ে বিশ বৎসর কঠোর রিয়াযত-মাশাক্কাত ও মুরাক্বাবা-মুশাহাদার মাধ্যমে ইলমে তাছাউফে পূর্ণতা হাছিল করেন। এর পূর্বে উনার শায়খ হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “হে মুঈনুদ্দীন! চলুনআপনাকে আল্লাহ পাক ও হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিকট সোপর্দ করে দিব
একথা বলে হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনাকে নিয়ে হজ্জে রওয়ানা হয়ে গেলেন। হজ্জ সমাপন করে অর্থাৎ কাবা শরীফ যিয়ারত করার পর হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “হে আল্লাহ পাক! মুঈনুদ্দীনকে আপনার নিকট সোপর্দ করে দিলামআপনি উনাকে কবুল করুন” গাইব থেকে নেদা হলো- হে উছমান হারূনী! আমি আল্লাহ পাক মুঈনুদ্দীন উনাকে কবুল করে নিলাম” সুবহানাল্লাহ!
অতঃপর মদীনা শরীফ গিয়ে সাইয়্যিদুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীনহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওজা শরীফ যিয়ারত করলেন। তখন হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “হে মুঈনুদ্দীন! আপনি সালাম পেশ করুনতিনি সালাম দিলেন- আসসালামু আলাইকা ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!রওজা শরীফ হতে জবাব আসলো- ওয়া আলাইকুমুস সালাম ইয়া কুতুবাল হিন্দ” অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং উনাকে লক্বব বা উপাধি দিলেন- কুতুবুল হিন্দ” বা হিন্দুস্থানের কুতুব। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীনইমামুল মুরসালীননূরে মুজাসসামহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশক্রমে গরীবে নেওয়াজহাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজ হিদায়েতের কেন্দ্রস্থল হিন্দুস্তানে চলে আসেন
তিনি অক্লান্ত কোশেশ ও হিকমতপূর্ণ তাজদীদের মাধ্যমে হিন্দুস্তান থেকে শিরককুফর,বিদয়াত-বেশরা সম্পূর্ণরূপে মূলোৎপাটন করেন এবং উনার উসীলায় অসংখ্য লোক ঈমান লাভ করে মুসলমান হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন। বর্ণিত রয়েছেপৃথিবীর ইতিহাসে উনি একমাত্র ব্যক্তিযাঁর উসীলায় আল্লাহ পাক এক কোটিরও বেশি লোককে ঈমান দান করেনসুবহানাল্লাহ!
গরীবে নেওয়াজহযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এত বিরাট সফলতা অর্জন করার একমাত্র কারণ হলোতিনি আজীবন আল্লাহ পাক উনার মতে মত ও হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ ছিলেন
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক স্বীয় কালামে পাক-এ ইরশাদ ফরমান, “নিশ্চয় যাঁরা আল্লাহ পাক উনাকে রব হিসেবে মেনেছে এবং এর মধ্যে দৃঢ় রয়েছেউনাদের উপর ফেরেশতা নাযিল হবেঅর্থাৎ উনাদের জন্যই রয়েছে গইবী মদদ
মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ ফরমান, “তোমরা চিন্তিত হয়ো নাপেরেশান হয়ো নাতোমরাই কামিয়াবী অর্জন করবেযদি তোমরা মুমিন হতে পারো
সুলত্বানুল হিন্দগরীবে নেওয়াজহাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যেহেতু মুমিনে কামিল ছিলেন এবং কুরআন শরীফহাদীছ শরীফইজমা ও ক্বিয়াস-এর উপর দৃঢ়ভাবে দায়িম-ক্বায়িম ছিলেনতাই তিনি এত বিরাট কামিয়াবী বা সফলতা অর্জন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন